চকরিয়ার নলবিলা বনবিটের অধিন শতাধিক একর বনভুমির কোটি টাকার গাছ কেটে বিক্রী অব্যাহত রয়েছে। গত এক পক্ষকাল যাবৎ এ ধ্বংশযজ্ঞ অব্যাহত থাকলেও নিরব ভুমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট বন কর্তৃপক্ষ। রহস্য জনক এ নিরবতায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সচেতন মহল। বন বিট কর্মকর্তা মামুনের দাবী ওই এলাকা তার নলবিলা বনবিটের নয় কাকারা বনবিটের আবার কাকারা বনবিট কর্মকর্তা আমানত উল্লাহ বলেন ওই জমি নলবিলার। এভাবে দায়সারা জবাব দুই বনবিট কর্মকর্তার। ফলে এভাবে বনজ গাছ কেটে নিধন চলছে দিবারাত্রি। এ বব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়া খালীর বনরেঞ্জার আব্দুল মতিন বললেন, জমি বনবিভাগের হলে ও গাছ রুপন করেছিল কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ওই সব প্রভাবশালীরা এ কাজ করছে আমি কি করব?
সরেজমিনে জানাযায়, গত ১৫দিন ধরে নলবিলা বিটের অধিন কাকারা মৌজার খেদারবান এলাকায় শতাধীক এলাকার বনভুমি দখল করে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি বিগত ১০বছর ধরে নিজস্ব অর্থায়নে বন সৃষ্টি করে আসছিল। ওই সব জমি কাকারা মৌজার হলেও বন নলবিলা বিটের অধিন। রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সুযোগে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষিদের ম্যনেজ করে সরকার দলিয় কতিপয় ব্যক্তি গাছের প্রকৃত মালিকদের নাম মাত্র মুল্য দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তারপর গাছ দস্যু কামাল উদ্দিন, মইনুদ্দিন, আলি হুসেন, রফিক ও সেলিম সহ ১০/১২জন মিলে গাছ কাটা শুরু করে গত ১৫ দিন আগে থেকে। ইতিমধ্যে ১৫ একর মত জায়গার ২০হাজারের ও অধিক গাছ কেটে নিয়ে গিয়ে জমিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বাকী পাহাড়ের গাছ কাটা অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে সর্বমোট লক্ষাধিক গাছ কাটার অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়া খালীর বনরেঞ্জার আব্দুল মতিন গাছ এক লক্ষ হবেনা মন্তব্য করে বলেন, জমি বনবিভাগের হলে ও গাছ রুপন করেছিল কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ওই সব প্রভাবশালীরা এখন গাছ কাটছে। তিনি আরো বলেন, না মানলে আমি কি করব?
এভাবে ধ্বংশযজ্ঞ দেখে সচেতন মহলের প্রশ্ন, সরকারী বনভুমির গাছ কেটে নিয়ে যাবে প্রভাব শালি মহল? সরকারের লাখ টাকার রাজস্ব দেবে কে?
পাঠকের মতামত: