কক্সবাজারের পেকুয়ায় ২য় শ্রেনীর পড়–য়া মুন্নী আক্তার(১২) নামের এক শিশুকে গরম পানিতে ঝলসে দিলো শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের বাবুর্চি। সে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ছৈয়দ নগর এলাকার হতদরিদ্র দিনমজুর রফিক আহমদের মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ৩১ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১টায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভুগী পরিবার সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো এদিনও স্থানীয় বারবাকিয়া ওয়ারেচীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত মুন্নী আক্তার স্কুলে যায়। এসময় পাশর্^বর্তী শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ তলায় কুল কুড়ানোর সময় ওই বিদ্যালয়ের বাবুর্চি জসিম উদ্দিন মুন্নী আক্তারকে লক্ষ করে গরম পানি ছুড়ে মারে। এতে তাৎক্ষনিক তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দ্বগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় আহতের আর্ত চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপায় তড়িগড়ি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়। শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা নেজাত মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন আহমদ ও যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা জানিয়ে ঘটনায় জড়িত নরপশু বাবুর্চি ও তার গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা স্থানীয় ভাবে ম্যানেজ করে ফেলেছি। সেটা নিয়ে সাংবাদিকদের এতো অতি উৎসাহীতা কেন? পেকুয়া থানার ও.সি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের বাবুর্চি কর্তৃকঃ গরম পানি ছুড়ে ২য় শ্রেণী পড়–য়া শিক্ষার্থী মুন্নী আক্তারের দ্বগ্ধের ঘটনাকে মর্মান্তিক ও জঘন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি কেউ।
পাঠকের মতামত: