ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফ মালিক বিহীন ২ বিজিবি উদ্ধার করল ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার

yaba,গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ :::

পাশ^বর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত ইয়াবা পাচার অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বস্তাবন্ধী ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে বাংলাদেশে। এই ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে সীমান্ত প্রহরী টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা প্রতিনিয়ত আটক করছে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা। তবে এই সমস্ত বড় বড় ইয়াবার চালানের সাথে কোন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হচ্ছেনা বিজিবি। পাচারকারীরা তাদের নিত্য নতুন কৌশলে বার বার থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিজিবি সুত্রে জানা যায়, টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন উপকুলে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করার জন্য তাদের বাহিনী দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় বিজিবি সদস্যরা লক্ষ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে। কারন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা খুবেই সু-চতুর তারা বিজিবি সদস্যদের অভিযানের উপস্থিতি আগেই টের পেয়ে যায়। ফলে ইয়াবা পাচারকারীদের ধরতে সক্ষম হচ্ছে না বিজিবি।

বিভিন্ন সুত্রে খবর নিয়ে জানা যায়, ইদানিং টেকনাফ নাফনদী সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যরা লক্ষ লক্ষ মালিক ছাড়া ইয়াবা উদ্ধার করে যাচ্ছে। কিন্তু এই সমস্ত বড় বড় ইয়াবার চালানের সাথে কোন পাচারকারী আটক না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ বলছে বস্তা বস্তা ইয়াবা রেখে কিভাবে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়? এই সমস্ত ইয়াবা পাচারের মুল হোতা কারা? কেন ইয়াবা গডফাদাররা বার বার থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেন তারা ধরা পড়ছেনা? এদিকে গতকাল ২০ নভেম্বর ভোর রাত ৪ টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা সাবরাং ইউনিয়নের নাফনদীর আলু গুলা প্রজেক্ট এরিয়া থেকে প্রায় ৭ লক্ষ মালিক ছাড়া ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মুল্য ২১ কোটি টাকা।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ গতকাল ভোর রাতে মালিক বিহীন ইয়াবা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমাদের সদস্যরা টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক প্রতিরোধ করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এবং আমরা সেই প্রতিরোধের ধারাবাহিকতায় লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আটক করতে সক্ষম হচ্ছি। তিনি আরো বলেন, পাচারকারীরা তাদের নিত্য নতুন কৌশলে থেকে যাচ্ছে আড়ালে, তাই কিছু কিছু অভিযানে বিজিবি উপস্থিতি আগেই টের পেয়ে যায় এবং পাচারকারিরা সু-কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে এই সমস্ত ইয়াবা পাচারের সাথে কারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে খুব শিগরই আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসা হবে। তার পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ যদি পাচারকারীদের ধরতে সহযোগীতা করলে আমাদের অভিযানের আরো সফলতা ফিরে আসবে।

পাঠকের মতামত: