ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

পেকুয়ায় করিয়ারদ্বিয়ায় ৫টি চিংড়ি ঘেরে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ-৮

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া প্রতিনিধি ::

dakati-21পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়ায় ৫টি চিংড়ি ঘেরে (২অক্টোবর) রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গনডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাত দলের ছোঁড়াগুলিতে ৮জন চিংড়িঘের কর্মচারি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ডাকাতের মুর্হমুহ গুলির বিকট শব্দে করিয়ারদিয়াসহ উজানটিয়া ইউনিয়নের বিপুল এলাকায় ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গুলিবিদ্ধরা হলেন করিয়ারদিয়া পুরাতনঘোনা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৭), একই এলাকার নুরুচ্ছফার ছেলে মো.রুবেল (২৩), নুরুল আলমের ছেলে আবুল কাসেম (৩২), বাদশাহর ছেলে রুবেল (৩০), আব্দুল গফ্ফারের ছেলে সোলয়েমান (২৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে শাহাব উদ্দিন (৩৮), শাহ আলম (৩৫) ও মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে সোলতান আহমদ (৩৮)। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে করিয়ারদিয়া পুরাতন ঘোনা এলাকায় ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ১৫-২০জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হানা দেয়। এ সময় ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফাসহ যৌথ মালিকানাধীন মৎস্যঘের থেকে নগদ টাকা, মাছ, বিহিন্দি জাল, সৌর বিদ্যুতের সরঞ্জামাদি, মোবাইল সেটসহ প্রায় ১০লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় মৎস্যঘেরের কর্মচারিরা ডাকাতদলকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে ৮জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একইভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়ার দুর্গম এলাকায় ওইদিন অপর চারটি মৎস্যঘেরে হানা দেয় ওই ডাকাতদল। শাহাব উদ্দিনের মালিকানাধীন লম্বা হাসের ঘোনা মৎস্যঘের, ধারাঘোনা আবুল কাসেমের মৎস্যঘের, পুরাতনঘোনায় সোলতানের মৎস্যঘেরসহ ৫টি চিংড়িঘেরে ডাকাতদল হানা দেয়। ওই সময় প্রত্যেক চিংড়িঘের থেকে বিপুল পরিমান মাছ, নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মৎস্যঘেরের মালিক সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা , শাহাব উদ্দিন, জিয়াবুল হক জিকু জানায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১৫-২০জনের অস্ত্রধারী ডাকাত করিয়ারদিয়ায় মৎস্যঘেরে হানা দেয়। তারা ৫টি ঘেরে গন ডাকাতি সংঘটিত করে। এ সময় প্রায় অর্ধ শতাধিক রাউন্ড গুলি চালায়। ডাকাতদের গুলিতে ঘেরের ৮জন কর্মচারি গুলিবিদ্ধ হয়। মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ির খন্দরাবিল এলাকার লেডু ডাকাত, দক্ষিন রাজঘাটের হরি ডাকাত, বকশু ডাকাত, নাজু ডাকাত, আহমদ করিম,ও চকরিয়ার বদরখালীর আলমগীর ডাকাতসহ পেশাদার ডাকাতরা করিয়ারদিয়ায় সস্বস্ত্র অবস্থায় এসে ডাকাতি করে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানায় রাতে আমাকে মুঠোফোনে সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছিলেন। এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: