কক্সবাজারের রামু উপজেলায় চুরি হয়ে গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অবিস্ফোরিত পরিত্যক্ত একটি বিশাল আকারের বোমা। গতকাল রবিবার গভীর রাতে এ বোমাটি চুরি হয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। বোমাটি কোন জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা মাটি খুঁড়ে নিয়ে গেছে কিনা তা নিয়ে এলাকায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। আবার জনসস্মুখে যদি এই অবিষ্ফোরিত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয় তাহলে কি ভয়াল ঘটনার সৃষ্টি হবে তা নিয়ে এলাকার মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
জানা গেছে, রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লট উখিয়ার ঘোনা টেইলা পাড়া তক্তাখালী এলাকায় গোলাম কাদেরের বাড়ির সামনে বোমাটি বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দেখে আসছিল এলাকার লোকজন। এলাকার প্রবীণরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ বোমাটি যুদ্ধ বিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই থেকে বোমাটি অবিস্ফোরিতই থেকে যায়। এতকাল ধরেই বোমাটি পাহাড়ের পাদদেশে পড়েই ছিল। বিষ্ফোরণের ভয়ে কেউ তেমন এটা নিয়ে মাতামাতি করেনি।
গত শুক্রবার রাজধানী ঢাকার গুলশান হামলার পর পরই আকস্মিক মাটিতে পুঁতানো অবস্থায় ধাকা দীর্ঘকালের এই বোমাটির প্রতি কার নজর পড়েছে এবং এটি কেনইবা নিয়ে গেছে তাই এলাকার লোকজনকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এই দীর্ঘকাল ধরেই বোমাটির অর্ধেকাংশ মাটিতে পোঁতা ছিল। স্থানীয় কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বদরুদ্দোজা জানান, গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় কিছু বহিরাগত মানুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। হয়তো তারাই বোমাটি রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর ধারণা, অবিস্ফোরিত বোমাটি দেখতে সিলিন্ডার গ্যাসের মত এবং এটির ওজন ৭ থেকে ৮ মণ হতে পারে। বোমাটির গায়ে ৯টি পাখা ও দুই পাশে দুইটি ক্যাবল সংযুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রবীণ মুরব্বীরা।
এ ব্যাপারে জানার জন্য আজ সোমবার সন্ধ্যায় রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর এবং রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিনা কাজীর মোবাইলে বহুবার ফোন দিয়েও তাদের কোন সাড়া মিলেনি। তবে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: