নিজস্ব প্রতিবেদক :: সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না, সংসদে দাঁড়িয়ে হাসিনাকে আঘাত করাই তার দোষ– এমন মন্তব্যের অভিযোগে চট্টগ্রাম বন গবেষণাগারের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করেন নগরীর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি সোহরাব হোসেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ এপ্রিল ও গত ২৮ মার্চ দুইটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে রফিকুল হায়দার বলেন, ‘সাকা কখনো যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না’।
প্রতিবেদনে এও বলা হয়, বন গবেষণাগারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অকপটে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিরাপরাধ দাবি করেন তিনি। তার ৪৪ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ বিষয়ে এজাহারে বলা হয়, উক্ত ক্লিপে রফিকুল হায়দারকে বলতে শোনা যায়, সালাউদ্দিন কাদের যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। ভালো মানুষ ছিলেন। তার এলাকায় যাও, খবর নাও। তার একটাই দোষ– হাসিনাকে আঘাত করেছে সংসদে দাঁড়িয়ে।
মামলার বাদীর আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দেন। এরকম একটা মানুষ সম্পর্কে বন গবেষণাগারের পরিচালক যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি আমার মক্কেলের নজরে পড়েছে। এ জন্য তিনি আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আদালত কর্তৃক স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীকে ভালো উল্লেখ করে রফিকুল হায়দার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আদালত অবমাননার শামিল। তিনি আদালতের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, অনৈতিক কাজ করেছেন। সেই সাথে আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। আদালতকে আমরা সেগুলো বলেছি।
পাঠকের মতামত: