ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যে নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজ

্র্র্র্র্র্র্রসংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::

চট্টগ্রাম ২৩ মে ২০১৬ ঃ গত ২১ মে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যে নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজ ও হাই স্পিড বোটসহ প্রায় পুাচ শতাধিক নৌসদস্যকে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী দ্বীপ কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও তদসংলগ্ন এলাকায় জরুরীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলসহ গভীর সমুদ্রে নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম ব্যাপক তল্লাশী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য নৌবাহিনীর একাধিক কন্টিনজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে যারা ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণসহায়তাসহ নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ত্রাণকার্যে ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী যথা চাল, ডাল, গুড়, লবণ, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জীবন রক্ষাকারী ঔষধ নৌবাহিনীর জলযানযোগে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় নেয়া হয়েছে এবং তা বিতরণের কার্যক্রম চলছে।

সরকারের নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় দূর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপত্তা ও জরুরী সহায়তায় নৌ সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে চলেছে। উল্লেখ্য, গত ২১ মে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে কুতুবদিয়ার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয় এবং প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর ফলে ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে এবং এলাকায় চরম খাদ্য ও পানি সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী জরুরী ভিত্তিতে কুতুবদিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণকার্যে যোগ দেয়। দূর্গত এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনী এই ত্রাণ বিতরণ ও জরুরী চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাবে।

পাঠকের মতামত: