ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জলদস্যু বাহিনীর তিন প্রধানসহ ৮জন গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক :: টানা ৪৮ ঘন্টার অভিযানে তিন জলদস্যুুু বাহিনীর প্রধানসহ আট ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার (১৪ মে) বাঁশখালী, পেকুয়া, কুতুবদিয়া উপকূলীয় অঞ্চলের স্থলেএবং সাগর পথে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন : কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার পেয়ারাকাটা এলাকার নুর হোসেনের ছেলে ও কালু দলের প্রধান মো. কালু প্রকাশ গুরা কালু (৪০), কক্সবাজারের পেকুয়া থানার করিয়ারদিয়া এলাকার মৃত আনসার উল করিমের ছেলে ও আজিজ দলের প্রধান মো.আজিজুল হক অংক (৪৬), কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার পূর্ব তাবলরচর এলাকার ইবনে আমিন প্রকাশ ইন্নমিনের ছেলে ও সাহাব দলের প্রধান সাহাব উদ্দিন (৪৭), কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার দক্ষিন ধুরুং এলাকার শাহ আলমের ছেলে নুরুল বশর (৩২), কক্সবাজারের চকরিয়া থানার মাইজঘোনা এলাকার মৃত আব্দুছ ছালামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৮), কক্সবাজারের চকরিয়া থানার রামপুর এলাকার মৃত বখতিয়ার উদ্দিনের ছেলে নেজাম উদ্দিন (২৯), কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার পূর্ব তাবলর চর এলাকার মৃত ছদর আহাম্মদের ছেলে ছলিম উল্লাহ প্রকাশ বাবুল (৫৫) এবং কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ছৈনাম্মার ঘোনা এলাকার মৃত আনছার উল করিমের ছেলে জিয়াবুল হক জিকু (৫০)।

র‍্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার জানায়, কিছুদিন যাবত অভিযোগ আসছিলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যু বাহিনী কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর সম্প্রতি তারা আবার পূর্বের ন্যায় নানা অপকর্মসহ উপকূলীয় এলসাকায় বসবাসকারী সাধারণ লবনচাষী ও জেলেদের ওপর অন্যায় কাজ পরিচালনা করছে ৷

ভুক্তভোগীদের এরুপ অভিযোগের বিষয়টি র‍্যাব মানবিকতার সাথে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে বাঁশখালী, পেকুয়া কুতুবদিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের স্থল ও সাগর পথে দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের আটক করে। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি দোনলা বন্দুক, ৩টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি এবং ৫টি দেশীয় ধাড়ালো ছোরা উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও আটককৃত নুরুল বশরের বিরুদ্ধে একটি, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২টি, নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি এবং ছলিম উল্লাহ প্রকাশ বাবুলের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া ১টি ট্রলারসহ জেলেদের ২টা জাল জব্দ করা হয়। র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, জলদস্যু দলের নেতাদের মধ্যে গুরা কালুর বিরুদ্ধে ১০টি, আজিজের বিরুদ্ধে ৩টি এবং সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে।আজিজ ডাকাত, গুরা কালু এবং সাহাব তিনজন মিলে তিনটি দল পরিচালনা করত।

তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বাঁশখালী, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও মহেশখালী থানা এলাকাসহ সাগর পথে বিভিন্ন চ্যানেলে ডাকাতি করে আসছে। আটকের পর ডাকাত দলের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: