ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় মেম্বারের হামলা-ভাংচুর ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশসহ পাঁচজনকে পিটুনি

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় জন্মসনদ না দেয়ায় নবনির্বাচিত ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত পরিষদে ঢুকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তাসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে। বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান।

হামলায় আহত হয়েছেন ডুলাহাজারা ইউপি সচিব মো. হুমায়ুন কবির (৪০), ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ মো. নাসির উদ্দিন (২৯), মো. রুবেল (২৫), আশরাফ উদ্দিন (৩৫) ও উদ্যোক্তা শাহারিয়া খান (৩৫)। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের পরিবার ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের (১,২,৩ নম্বর) ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী মেম্বার ওয়াহিদা সুলতানা হাসিনা বলেন, দুপুর ১টার দিকে সচিব হুমায়ুন কবির নিজ অফিসে কার্যালয়ে বসে কাজ করছিলেন। এসময় সদ্য নির্বাচনে বিজয়ী পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রমজান আলীর নেতৃত্বে ২৫-৩০জন লোক এসে অতর্কিতভাবে পরিষদে ঢুকে লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে গ্রাম পুলিশ নাসির উদ্দিনকে বেধড়ক পেটাতে থাকে।

এসময় তাদের বাধা দিলে অপর দুই গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তকেও মারধর করে তারা। একপর্যায়ে তাঁরা ইউপি সচিবের কার্যালয়ে প্রবেশ করে সচিব হুমায়ন কবিরকে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন জিনিষপত্রও ভাংচুর করেন।

আহত ইউপি সচিব হুমাযুন কবির বলেন, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাবিয়া বেগম তার মেয়ে হুমায়রা বেগমের জন্মনিবন্ধনের জন্য ইউপি কার্যালয়ে আসেন। তার জন্মনিবন্ধন না থাকায় তাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ভর্তি রেজিষ্টার ফটোকপি নিয়ে আনার জন্য বলা হয়। তিনি যথারীতি ভর্তি রেজিষ্টারের ফটোকপি সত্যায়িত করে দিলেও তাতে জন্ম তারিখ উল্লেখ নেই। এই কাগজ নিয়ে জন্মসনদ দেয়া যাবেনা বলেছি তাকে।

ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য রমজান আলীকে এ বিষয়ে জানায় হুমায়রার মা রাবিয়া বেগম। কিন্তু ইউপি মেম্বার রমজান আলী বিষয়টির জটিলতা নির্ণয় না করে উল্টো হঠাৎ করে পরিষদে এসে হামলা চালায়। এসময় ৩ গ্রাম পুলিশ, উদ্যোক্তা ও আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আহত ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

পাঠকের মতামত: