ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বাড়ছে! দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি, মহিলাসহ ৮জন গুলিবিদ্ধ

যযযযযযযএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বেড়ে চলছে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সংঘাত সহিংসতা। প্রতিদিনই উপজেলার কোন না কোন ইউনিয়নে অব্যাহত রয়েছে বিজয়ী ও বিজীত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা। এতে সংঘাতে জড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা লোকজন। সর্বশেষ সোমবার রাতে উপজেলার কোণাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা বটতলী এলাকায় দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মাঝে ঘটেছে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা। ওই ঘটনায় মহিলাসহ অন্তত ৮জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহতদেরকে গুরুতর অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

আহতেরা হলেন কোণাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এলাকার মৃত লেদু মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন (৩৮), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মনছুর আলম (৩২), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫০), মৃত আবদুল করিমের ছেলে আবদুল কাদের (৪৮), মোস্তাক আহমদের ছেলে মো. বাবলু (২৭), মনছুর আলমের স্ত্রী জোসনা আকতার (২৭), মৃত লেদু মিয়ার ছেলে আবুল হাসেম (৪২) ও মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৪)। আহতরা সকলেই কোণাখালী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার ছরওয়ার আলমের কর্মী সমর্থক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত ৭ মে চতুর্থ দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাহাঙ্গীর আলম ও ছরওয়ার আলম। এতে ছরওয়ার আলম নির্বাচিত হন। এদিকে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে কোণাখালী মরংঘোনাস্থ বটতলী এলাকায় জয় পরাজয়কে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, কোণাখালী ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় মঙ্গলবার আহত আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন। মামলাটিতে মেম্বার পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে এক নম্বর আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়াও মামলায় আরো ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।#

পাঠকের মতামত: