স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, সকল ষড়যন্ত্র ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে। কালো টাকার পাহাড় আর অস্ত্রের বিরুদ্ধে মাত্র ২১ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন। দেশের কোথাও এতো অল্পদিনে এমপি হওয়ার নজির নেই। তবুও আপনারা বানিয়েছেন।
কারণ স্বতন্ত্র প্রাথীর হাতে দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই নির্বাচনে তারাই ভোটের মাধ্যমে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে। এই ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো নাতিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছেও এজন্যম তিনি ঋণী। সবচেয় বেশি ঋণী হয়েছি এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির কাছে। তিনি বিশাল ত্যাগ করেছেন। তার নেতৃত্বে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সিআইপির ত্যাগের মূল্যায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
ৎসোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল তিনটার দিকে বরইতলী পহরচাঁদায় সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির বাসভবনে তাকে দেওয়া সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এতো চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ভোট কেন্দ্রে গেছেন। পছন্দের প্রার্থীকে বিজয় করেছেন। আগামীতে চিংড়িঘের দখল-জমি দখল, গরুচুরি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করা হবে। শতকরা ৯০ ভাগ আওয়ামী লীগের ১০ভাগ কল্যাণ পার্টির কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বলেন সরকারি বরাদ্দ জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্টন করা হবে। কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি করবো না। সবকিছু নিয়মনীতির মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। একদিনে সবকিছু করতে পারবো না। চকরিয়া- পেকুয়া উপজেলার সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি বলেন, কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা আপনাকে বিপুল ভোটে সাংসদ নির্বাচিত করেছেন। টাকা পয়সা ছাড়া আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এই পরিশ্রমের মূল্য শোধ করার মতো নয়। তাদেরকে মনে আঘাত দেয়া যাবে না। সবসময় বঞ্চিত হয়েছে চকরিয়া-পেকুয়ার জনগণ। নেতাকর্মীদের আবেগের কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে হবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, এসএম গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, সরওয়ার আলম, মহসিন বাবুল, জিএম কাসেম, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, চেয়ারম্যানবৃন্দের মধ্যে নুরে হোসেন আরিফ, মনজুর কাদের, আওরঙ্গজেব বুলেট, জাহাঙ্গীর আলম, সাহাবউদ্দিন, যুবলীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম, পূজা কমিটির সভাপতি তপন কান্তি দাশ, আতিক উদ্দিন চৌধুরী, এসএম আলমগীর হোছাইন, আবছার উদ্দিন মাহমুদ, শফিউল আলম বাহার, ইকবাল দরবেশী ও এড. রবিউল এহেসান।
পাঠকের মতামত: