নিজস্ব প্রতিবেদক ::
আজ রবিবার বিকেলে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ২২৪টি আসনে নৌকার মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে অনেক নতুন মুখ। বাদ পড়েছেন বর্তমান অনেক সংসদ সদস্য।
আজ রবিবার (২৬ নভেম্বার) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণার কথা রয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, গত তিন দিনে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। অর্থাৎ ৩০০ আসনের মধ্যে ২২৪টি আসন চূড়ান্ত হয়েছে।
এখনো সিলেট বিভাগের ১৯ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৭টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে।
সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে একসঙ্গে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করার সম্ভাবনা হয়েছে। সে হিসেবে আগামীকাল রবিবার দুপুরের মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে হবে বোর্ডের।
প্রার্থী প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন-পুরনো মিলিয়েই আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি।
যেখানে পুরনোরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, সেখানে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, ইলেকট্যাবল ক্যান্ডিডেট যারা সেটাই হচ্ছে বিচারের মানদণ্ড। এ ছাড়া কতজনকে বাদ দেব, কতজন রাখব এ ধরনের সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের মাথায় রয়েছে কাকে দিলে আমাদের দল নির্বাচনে জনগণের কাছে অধিকতর যোগ্য হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে সারা দেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে মোট তিন হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের দৌড়ে বাদ পড়ছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান কিছু সংসদ সদস্য। অন্যদিকে এগিয়ে আছেন বয়সে তরুণ, জনগণের কাছে যাদের বেশি গ্রহণযোগ্যতা আছে তারা। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য বা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এই মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সব প্রার্থীকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০০৮ সাল থেকেই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। এবারও তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি দলটি। তবে জোটের প্রার্থী নির্বাচনেও জনপ্রিয়তাকেই পাল্লায় মাপার কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা ১৪ দলীয় জোটের চেয়ারম্যান। আমরা শরিকদের বিষয়ে এখনো কোনো কিছু ঠিক করিনি। কারণ জোটের বিপরীতে জোট হয়। আমাদের প্রতিপক্ষের যদি একটা বড় জোট হয়, সেটার বিপরীতে আমাদেরও জোট হবে। তা ছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাব। প্রয়োজন না থাকলে জোট করব না। জোট করব যাদের নিয়ে, মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। এরপর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোটের আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে। ৭ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
পাঠকের মতামত: