অনলাইন ডেস্ক :
ষোল কোটি মানুষের বাংলাদেশে মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৪ কোটি ছাড়িয়েছে, ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটিতে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিটিআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৪ কোটি ৭ লাখ ১৩ হাজার। ছয় কোটি ৩৮ লাখ ৪২ হাজার গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। এয়ারটেল একীভূত হওয়ার পর রবির গ্রাহক সংখ্যা এখন চার কোটি ১২ লাখ ১১ হাজার।
বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ২৩ লাখ ৭৯ হাজার রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা হয়েছে ৩২ লাখ ৪১ হাজার।
গত বছর সেপ্টেম্বর শেষে দেশে গ্রাহকদের হাতে ১১ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার মোবাইল সিম ছিল। অর্থাৎ, গত এক বছরে গ্রাহক সংখ্যায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশের বেশি। প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজারে। গত বছর একই সময়ে ছিল ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬২ হাজার। এক্ষেত্রেও এক বছরে প্রবৃদ্ধি ১৮ শতাংশের বেশি।
বর্তমানে সাত কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ব্যবহারকারী, অর্থাৎ ৯৩ শতাংশের বেশি গ্রাহক মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন বলে বিটিআরসির তথ্য।
এর বাইরে ৫২ লাখ ২১ হাজার গ্রাহক বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্কের (পিএসটিএন) মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ওয়াইম্যাক্সের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজারে। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোবাইল বা ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধি মানে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে, এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটররা বিশেষ ভূমিকার রাখছে।” গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ভ্যাটমুক্ত করা হলে দেশে ডিজিটাল সেবার আরও প্রসার ঘটবে বলে মত দেন অ্যামটব মহাসচিব।
পাঠকের মতামত: