ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

হোটেল রয়েল টিউলিপে পঁচা,বাসী ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পেলো পরিবেশ অধিদপ্তর

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :: কক্সবাজারের সর্বোচ্চ অভিজাত রিসোর্ট হোটেল রয়েল টিউলিপেই পঁচা, বাসী ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পাওয়া গেলো। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর পরিচালিত এক অভিযানে এ রকম খাবার অযোগ্য খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারস্থ উপ পরিচালকের কার্যালয় সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রায় ৪ বছর আগে উখিয়া উপজেলার ইনানী মোহাম্মদ শফির বিলের সমুদ্র সৈকত ঘেষে নির্মিত রিসোর্টটি শুধু কক্সবাজারের নয়, দেশের অন্যতম তারকামানের অভিজাত হোটেল। এই রয়েল টিউলিপে কোনদিন সরকারের কোন সংস্থা বা কোন কর্তৃপক্ষ তদারকি ও আইনি অভিযান চালায়নি। তাই পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্মত সেবা দেওয়ার দাবিদার এই হোটেলটি যা ইচ্ছে, তা করে আসছিল বার বার অভিযোগ উঠছিল। অভিযোগ ছিল, অভিজাত এ হোটেল কক্সবাজার শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ও অন্যান্য কারণেও হোটেল কর্তৃপক্ষ সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর তদারকির কোন তোয়াক্কায় করতোনা। তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিলো সবসময়ই। মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী’র নেতৃত্বে রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা এবং হোটেলের এসটিপি পরিদর্শন করা হয়। তাছাড়া হোটেলের খাবার তাদের ঘোষিত মানের কিনা, পরিবেশসম্মত ও সঠিকমানে সংরক্ষণ করা হয় কিনা, ইত্যাদি জানার জন্য হোটেলের রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাদ্যদ্রব্য দেখা হয়। এই সময় দেখা যায়, একটি রেফ্রিজারেটরে প্রায় ১০ কেজি পঁচা কাঁচা মরিচ, অন্য একটি রেফ্রিজারেটরে প্রায় ১০ কেজি মেয়াদোত্তীর্ণ মুরগীর মাংস, প্রায় ১ কেজি মেয়াদোত্তীর্ণ চিংড়ী, প্রায় ১ কেজি মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁকড়া রয়েছে। উক্ত খাদ্য দ্রব্য হোটেলের কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) শাহীনুর আলমের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয়। হোটেল হতে উদ্ধারকৃত পঁচা, বাসী ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য দ্রব্যের তালিকায় উক্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করে দেওয়া হয়। পরে জব্দকৃত দ্রব্যাদি একইদিন বিকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গনে মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়। উক্ত দ্রব্যাদি ধ্বংসকালে ২ সাক্ষী সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ নূরুল আমিন, চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জমির উদ্দিন, ও জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন কারণে অভিজাত হোটেল রয়েল টিউলিপে এ ধরণের অভিযান এবং পঁচা, বাসী ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য দ্রব্য উদ্ধারের খরবে সকলে বিস্ময় প্রকাশ করছেন।

পাঠকের মতামত: