রেজাউল করিম রেজা ::
মানুষ জন্মানোর সময়ে যে অধিকার গুলো নিয়ে পৃথিবীতে আসে সেগুলো নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার নামই জীবন। জীবনে যা যা পাওয়ার প্রয়োজন তার নামই হচ্ছে মানবাধিকার। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য মানবজাতির মৌলিক অধিকার গুলো কি কি এবং সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। আমাদের জানতে হবে মানতে হবে জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার। UDHR অন্তভুক্ত মানবাধিকার জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। গুপ্তহত্যা, ক্রসফায়ার, বিচারবর্হির্ভূত হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ, মানবাধিকার লঙ্গন। আসল কথায় আসি পৃথিবীতে প্রতিদিন খুন-রাহাজানি, গুম-অপহরণ,গুপ্তহত্যা, গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা, বহুতল ভবনে আগুন দেয়া, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারা, হোটেল-রেস্টুরন্টে আগুন দিয়ে মানুষ মারা, শিক্ষার্থী-গার্মেন্টস কর্মী-এনজিও কর্মীদের পালাক্রমে “গণধর্ষণ” করার পর আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা, না হয় গলা টিপে বা ওড়না পেচিয়ে তাদেরকে হত্যাকরা, মসজিদ-মন্দিরে বোমা হামলা চালিয়ে শত শত অবুঝ শিশু-কিশোর নারী-পুরুষ হত্যা করা, বন্দুক যুদ্ধ-ক্রসফায়ার, বিচারবর্হির্ভূত হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ গুলো সংঘটিত হচ্ছে। মানব জীবনের কি এতই মূল্য নেই। অকালে ভাই বোনকে বোন ভাইকে, ছেলে বাবাকে বাবা ছেলে হারানোর বেদনায় কাতর। পৃথিবীর মানুষ গুলো কি পশু হয়ে গেছে। দয়া-মায়া-স্নেহ-ভালোবাসা কি নাই। এ দেশে টাকা-ক্ষমতার জোরে ধর্ষণের ডাক্তারি রিপোর্ট উল্টো আসে,যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ উল্টো বকে। যৌন হয়রানি অভিযোগ করার পর তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তোলে না নিলে শিক্ষার্থীর গায়ে কেরোসিন দিয়ে নিভিয়ে দেয় জীবনের আলো। বিচারের মুখোমুখি হলে বিচারের নামে প্রহসন হয়। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায় না আইনজিবিরা তারাদের পক্ষে জেরা করে। আবার ঘুমের ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা কিশোরীকে ধর্ষণ করে চিকিৎসক। কোচিং সেন্টারে যদি দিন দুপুরে গণধর্ষণের শিকার হয় শিক্ষার্থী। চলন্ত বাসে যদি যৌন হয়রানির শিকার ও নারী ধর্ষিতা হয়। ইভটিজিং এর প্রতিবাদ এবং পরকিয়ায় বাধা দিলে জেলে যেতে হয়। খুন করে খুনিরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়। সাগর-রুনি, ফিলখানা,বিশ্বজিত, নারায়ণগঞ্জ ৭ খুন, মিতু, তনু, রঞ্চন,নুসরাত হত্যার বিচার কবে নাগাদ শেষ হবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। বাংলাদেশে আগুনে পুড়িয়ে, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে বোমা হামলা শ্রীলংঙ্কার মন্দির ও আবাসিক হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় কত মানুষের প্রান গেল। প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের মালিক ও সংবিধান উন্নয়ন কর্মী। সংঘটিত অপরাধ গুলো প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রত্যশায় অাইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সু-শাসন নিশ্চিত করে জাতীয় জীবনে জনগণের মৌলিক অধিকার সহ মানবাধিকার সংরক্ষণ, প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন অত্যাবাশ্যক। তাইতো বলি “মানবাধিকার সেবা হবেনা কবুও শেষ আমরা নির্ভিক নাগরিক-জাতির বিবেগ গড়ব সোনার বাংলা-দূর্নীতি মুক্ত রাখব দেশ” ## সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা, পেকুয়া, কক্সবাজার
পাঠকের মতামত: