রাজধানীর গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল ছাত্রকে কিশোর প্রেমের জেরে স্কুলছাড়া করছেন প্রধান শিক্ষিকা ফৌজিয়া আহমেদি। জানা যায়, কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং সভায় সিদ্ধান্ত ছাড়াই খালি পৃষ্ঠায় শিক্ষকদের সই নিয়ে রীতিমত দম্ভ প্রকাশ করছেন এই প্রধান শিক্ষিকা। ওই ছাত্রের অভিভাবকদের ডেকে এনে জোরপূর্বক আবেদনে সই করানোর চেষ্টা করেই থেমে থাকেননি, অন্যান্য সকল শিক্ষকদের থেকে সই নেওয়া হয়েছে খালি পৃষ্ঠায়।
ওই ছাত্রের অপরাধ কিশোর প্রেম। একই শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ওই ছাত্রের। এই নিয়ে ছাত্রীর অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ অনুযোগ নেই। দুই পরিবারের অভিভাবকেরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ওঠেন প্রধান শিক্ষিকা। তার দৃষ্টিতে এই কিশোর প্রেম অমার্জনীয় অপরাধ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা জানান, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে বের করে দিতে প্রধান শিক্ষিকা একটি সভা ডেকেছেন। মূলত সভা হলেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তই জানিয়েছেন। অন্যদের কথা তিনি কানেই তুলতে চাননি।
ওই ছাত্রের বাবা মো. সেলিম মিয়া জানান, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশনের সময় এখন। প্রধান শিক্ষিকার একতরফা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তার ছেলের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে দিচ্ছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, টিসি দিলে ছেলে যদি অন্য কিছু ঘটিয়ে দেয় তাহলে আমার ছেলে আমি পাব কোথায়? প্রধান শিক্ষিকা আমার ছেলেকে কি ফিরিয়ে দিতে পারবে?
এসব ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফৌজিয়া আহমেদ জানান, স্কুলে আমরা কি করব না করব, তার ব্যাখ্যা আপনাদেরকে কেন দিব? ওই ছেলেকে আমরা টিসি (বদলি-সনদ) দিব। তাতে বাধা দেয়ার সাধ্য কারো নেই।
পাঠকের মতামত: