অনলাইন ডেস্ক :: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১০০ টাকার নোটকে পানিতে সিদ্ধ করে ৫০০ টাকার জাল মুদ্রা তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সেলিম, মনির, মঈন, রমিজা বেগম, খাদেজা বেগম ও এক কিশোর (১৫)।
রবিবার (২৮ জুন) রাতে তাদেরকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গতকাল সোমবার ( ২৯ জুন) গণমাধ্যমকে দেয়া এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব এসব তথ্য জানায়। এসময় তাদের কাছ থেকে চার কোটি (১০০০ টাকার নোট ) জাল টাকা ও ভারতীয় জাল রুপি (আনুমানিক ৪০ লাখ, ৫০০ ও দুই হাজার রুপির নোট) এবং জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ডাইস ও কাটার উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়াও প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকার জাল নোট বানানোর কাঁচামাল (কাগজ, কালি ও জলছাপ দেওয়ার সমাগ্রী) পাওয়া গেছে।
র্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ১০০ টাকার আসল নোটকে পানিতে সিদ্ধ করে রঙ তুলে ফেলার পর শুকিয়ে সেটিতেই দেয়া হয় ৫০০ টাকার ছাপ। ফলে টাকার কাগজ ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য প্রায় অক্ষুণ্ণ থাকে। ছাপাও এমন নিখুঁত হয় যে দেখে জাল বলে বোঝার কোনও উপায়ই থাকে না। এতে সহজেই প্রতারণার ফাঁদে পড়েন মানুষ।
র্যাবের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জ্যেষ্ঠ এএসপি জাহিদ আহসান জানান, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন এবং ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে অসাধু চক্র দেশব্যাপী জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল।
বিশেষ করে কোরবানির পশুর হাটের লেনদেনকে কেন্দ্র করে জাল টাকার কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে। ১০০ টাকার নোট সিদ্ধ করে তাতে ৫০০ টাকার ছাপ এবং বিশেষ রং, কাগজ ও প্রিন্টার ব্যবহার করে এক হাজার টাকার জাল নোট তৈরি করে আসছিল তারা।
র্যাব আরও জানায়, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় তারা সবাই জাল টাকা তৈরির সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ছিলেন।
পাঠকের মতামত: