আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: সাংবিধানিকভাবে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। আমরা এমন অনেক শব্দ উচ্চারণ করি যার অর্থ নিজেরাও জানি না। এ শব্দটি জাতীসংঘ কর্তৃক সংজ্ঞায়িত করা। সুতরাং এ শব্দের কিছু রাইটস্ আছে। কিন্তু আমাদের কেউ কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে এ শব্দটি ব্যবহার করছে অহরহ।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আলীকদম জোনে পক্ষ থেকে আলীকদম প্রেসক্লাবকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটি কমপিউটার প্রদানকালে জোন কমাণ্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ মনজুরুল হাসান, পিবিজিএম, পিএসসি এসব কথা বলেন।
জোন কমাণ্ডার বলেন, সমাজকে এগিয়ে নিতে বুদ্ধিজীবিদের ভূমিকা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আলীকদম প্রেসক্লাবের বড় ধরণের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে এ জনপদের উন্নয়নে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লিখতে লিখতে একসময় পরিবর্তন হয়ে যায়। স্থানীয় সাংবাদিকদের অব্যাহত লেখনীর ফলেই আলীকদম পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে বলে জোন কমাণ্ডার মন্তব্য করেন। প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের আরো পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে কলমের শক্তি অপরিসীম।
জোন কমাণ্ডার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরণের চক্রান্ত হয়। অপপ্রচার চালানোর মাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্নিত হয়। পরিকল্পিত চক্রান্তের মাধ্যমে একজন সুস্থ মানুষকেও অসুস্থ করে ফেলা যায়। তাই স্বার্থান্বেষীদের চক্রান্ত সকলকে রোধ করতে একযোগে কাজ করতে হবে।
আলীকদম প্রেসক্লাবে আসার পর জোন কমাণ্ডারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন প্রেসক্লাস সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও অন্যান্য সাংবাদিকরা।
এ সময় জোন কমান্ডারকে স্বাগত জানাতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম ও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। অতিথিদেরকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিকরা। এ সময় আলীকদম জোনের অফিসারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অনারারি লেঃ মোঃ শাহাব উদ্দিন ও ওয়ারেন্ট অফিসার খন্দকার ইসমাইল মাহমুদ প্রমুখ।
প্রেসক্লাব অফিসে মতবিনিময় সভায় জোন কমাণ্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ মনজুরুল হাসান আরো বলেন, পার্বত্য জনপদের পিছিয়ে পড়া উপজেলাগুলোতে সেনা বাহিনী যেখানে গেছে শিক্ষার জন্য প্রচুর কাজ করেছে। একটি আত্মনির্ভরশীল জাতিগঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আলীকদম জোন সর্বদা শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে উল্লেখ করে জোন কমাণ্ডার বলেন, অচিরেই লামার দুর্গম জনপদ নাইক্ষ্যংমুখে একটি স্কুল নির্মাণে কার্যক্রম শুরু করা হবে। এরফলে দুর্গম ওই জনপদের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পাবে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম এলাকার পানীয় জলের সংকট নিরসনে নিজ উদ্যোগে এবং জাইকার অর্থায়নে পানি সাপ্লাইয়ের একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান। এরমাধ্যমে তিনি উপজেলার বেশীরভাগ সংকটপ্রবণ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা লাঘব হবে বলে মন্তব্য করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ইতোপূর্বে শিক্ষার উন্নয়নে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মৈত্রী স্কুল সংলগ্ন ছাত্রাবাস নির্মাণেও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রকল্প সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে মৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বহুতল বিষিষ্ট ছাত্রাবাস নির্মাণে জোন কমাণ্ডারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
পাঠকের মতামত: