ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

‘সরকার সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর জুলুম চালাচ্ছে’

অনলাইন ডেস্ক ::khaleda-zia
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “বর্তমান আওয়ামী সরকার তাদের পুরনো পথেই হেঁটে যাচ্ছে এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালাচ্ছে এবং খবরদারীর খড়গ ঝুলিয়ে রেখে তা নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল গণমাধ্যমের কর্মীদের শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ‘৭৫ এর এই দিনের বিভীষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় দেশে বিরাজমান রয়েছে। সেইজন্য অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সাংবাদিক ভাই-বোনদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন এক বিবৃতিতে একথা বলেন।

বেগম জিয়া বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার তাদের অনুগত চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিয়ে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিলো। যার ফলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মী বেকার হয়ে পড়েছিলো। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তাদের রুজি-রোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ।’

‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল তাগিদ ছিল বাংলাদেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। মানুষের স্বাধীনতার মূল শর্ত হচ্ছে বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মধ্যে যার বহি:প্রকাশ ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল-স্পিরিটের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে।’

বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘পরবর্তীকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃ:প্রবর্তন করেন। বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুন:প্রতিষ্ঠিত করেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রকৃত গণতন্ত্রের সারবত্তা, গণতন্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’

পাঠকের মতামত: