ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শাবানার পথে শাবনূর…

1বিনোদন ডেস্ক ::

শাবনূর এখন তার অগ্রজপ্রতিম শিল্পী শাবানার পথ ধরেই হাঁটছেন। দুজনই ঢালিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী। খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত এহতেশাম ষাটের দশকে শাবানাকে আর নব্বইয়ের দশকে শাবনূরকে বড় পর্দায় আনেন। দুজনের ফিল্মি নামও রাখেন তিনি। রত্না থেকে শাবানা আর নূপুর থেকে শাবনূর। দুজনের নামের আদ্যাক্ষরও এক। অর্থাৎ ‘শ’। আবার তাদের দুজনের প্রথম ছবির নির্মাতা যেমন একইজন তেমনি উভয়ের প্রথম ছবির নামের প্রথম অক্ষরও এক। মানে ‘চ’। নায়িকা হিসেবে শাবানা প্রথম অভিনয় করেন ‘চকোরী’ আর শাবনূর ‘চাঁদনী রাতে’ ছবিতে। তাদের মধ্যকার এমন মিলের সীমা নাকি এখন আরও বেড়েছে। মানে শাবানার মতো শাবনূরও বড় পর্দা ছেড়ে ধর্ম-কর্ম আর সংসারে মনোযোগী হয়েছেন।

নব্বই দশকের শেষ দিকে হুট করেই অভিনয় ছেড়ে আমেরিকা প্রবাসী হন শাবানা। তাকে আর জনসম্মুখে তেমন একটা দেখা যায়নি। কালেভদ্রে দেখা মিললেও শরীর বোরকা আর মাথা ঢাকা দেখা যায় হিজাবে। অভিনয়ে ফেরার ব্যাপারে কেউ তার কাছে জানতে চাইলে সোজাসাপটা জবাব, ‘আমি এখন সংসার আর ধর্ম-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত আছি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সময় বা ইচ্ছা কোনোটিই আর নেই।’ একই অবস্থা এখন শাবনূরেরও। অনেক দিন ধরে চলচ্চিত্রে অনুপস্থিত তিনি। নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব। বছরের বেশির ভাগ সময় সে দেশেই থাকেন। সন্তানের জন্মও দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সম্প্রতি শাবানার সঙ্গে শাবনূরের যে মিলটি বেশি করে চোখে পড়ছে তা হলো শাবনূরও তার শরীর বোরকা আর মাথা ঢেকে নিয়েছেন হিজাবে। মাঝে-মধ্যে এফডিসি বা কোনো চলচ্চিত্রকারের ঘরোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিলে তাকে বোরকা আর হিজাব পরিহিত অবস্থাতেই দেখা যায়। দীর্ঘদিন পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি শাবনূরের দেখা মেলে লেডিস ক্লাবে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান তিনি। তখন তাকে হিজাবেই দেখা যায়। অভিনয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তার কথায়, ‘বাচ্চাটাকে নিয়েই এখন বেশি সময় কাটাচ্ছি। তা ছাড়া তেমন ভালো মানের ছবি কোথায় যে অভিনয় করব। আপাতত সংসার-সন্তান নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই’। তার বেশভূষা আর কথায় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তিনি এখন সংসার আর ধর্ম-কর্ম নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে চান। অভিনয় নয়। মানে শাবানার পথ ধরেই হাঁটছেন শাবনূর।

– See more at: http://www.bd-pratidin.com/entertainment-news/2016/02/24/128889#sthash.TsiehEZA.dpuf

পাঠকের মতামত: