ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

লোহাগাড়ায় প্রবাসী হত্যা

লাখ টাকায় ৪ খুনিকে ভাড়া করেন শাশুড়ি

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুটিবিলায় প্রবাসী মনছুর আলী (২৭) হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছাবের আহমদ (৫০) নামে এক ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছাবের আহমদ উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব পহরচান্দা এলাকার ইবনে আমিনের পুত্র।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নিহত প্রবাসীর শাশুড়ি ছায়েরা খাতুন, শ্যালিকা রুমন্নান আক্তার ও ভাড়াটিয়া খুনি ছাবের আহমদকে পরদিন সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এ ছাড়া তদন্তে নিহত প্রবাসীর স্ত্রী রিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলায় অন্তর্ভুক্তিসহ পুনরায় গ্রেপ্তার করা হবে।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার এস আই শরিফুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে নিহত প্রবাসীর শাশুড়ি ছায়েরা খাতুনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভাড়াটিয়া খুনি ছাবের আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মেয়ের স্বামীকে হত্যা করতে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ৪ ভাড়াটিয়া খুনি ভাড়া করেন শাশুড়ি ছায়েরা খাতুন। গত ১লা মার্চ শ্বশুরবাড়ি যান প্রবাসী মনছুর আলী। রাতে ওতপেতে থাকা ভাড়াটে খুনিরা শ্বশুরবাড়ির ভেতর দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।

মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি থেকে আনুমানিক ৩শ’ গজ দূরে এক ঝিরিতে ওই প্রবাসীকে মাটিচাপা দেয় খুনিরা। এস আই শরিফুল ইসলাম আরও জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে নিহত প্রবাসী মনছুর আলীর বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে শাশুড়ির ভাড়া করা খুনিদের হাতে খুন হন মেয়ের স্বামী। হত্যকাণ্ডে সরাসরি জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

উক্ত ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পহরচান্দা ছোট ধলিবিলা হাসনা ভিটার পাহাড়ি টিলার এক ঝিরি থেকে প্রবাসী মনছুর আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি একই ওয়ার্ডের পহরচান্দা সেকান্দার পাড়া এলাকার ফরিদ আহমদের পুত্র ও ২ সন্তানের জনক। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি তিনি দুবাই থেকে দেশে আসেন। পরদিন তিনি নিখোঁজ হন।

পাঠকের মতামত: