কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী উত্তর মিঠাছড়ি বিবেকারাম বৌদ্ধ বিহারের পার্শ্ববর্তী পুকুরে তলিয়ে গেছে বিহারের ভবনের একটি অংশ। খবরটি এলাকায় ছড়িতে পড়লে বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিমসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ বিহার ভাঙনের দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, ক’দিন ধরে প্রবল বর্ষণের ফলে বুধবার (১০ আগস্ট) সকালের দিকে উত্তর ফতেখাঁরকুল বিবেকারাম বৌদ্ধ বিহারের মূল ভবনের রান্না ঘরের পার্শ্ববর্তী একটি অংশ পুকুরের দিকে হেলে পড়ে যায়। এতে আকঙ্কিত হয়ে পড়ে বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ বিহারের বসবাসরত শ্রামণরা।
উত্তর ফতেখাঁরকুল বিবেকারাম বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুশীল বড়–য়া, সহ সভাপতি কমলশু বড়–য়া ও সাধারণ সম্পাদক প্লাবন বড়–য়া জানান, বেশ ক’দিন ধরে প্রবল বর্ষণের ফলে বিহার আঙ্গিনার পুকুরের পানি টইটম্বুর হয়ে পড়ে। গভীর এ পুকুরটির বাঁধ ভেঙে যায় এবং পাশে স্থিত বিহারের মূল ভবনের রান্না ঘর পুকুরে বিলীন হয়ে যায়। মূল ভবনও ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিহার কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোপ্রাম কক্সবাজারের চেয়ারম্যান সুরেশ বড়–য়া বাঙালিসহ বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ বিহার পরিদর্শনে আসেন। এসময় তারা বিহারটি দ্রুত সংস্কার ও ভাঙল কবলিত বিহারকে রক্ষায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
################
রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও কাউয়ারখোপে পালস্রে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
খালেদ হোসেন টাপু, রামু :::
রামু উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পালস্ বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১১শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তাক আহাম্মদ, কচ্ছপিয়ার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু নোমান, গর্জনিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরী, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পালস্ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কলিম, পরিচালক আতিকুল ইসলাম চৌধুরী, সমন্বয়কারী শাহদাত হোসেন, আহমেদ উল্লাহ, শাহনেওয়াজসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: