কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা নন্দাখালী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুকালে পুলিশ-ডাকাত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ হাতেনাতে অস্ত্রসহ ৩ ডকাতকে আটক করেছে। এঘটনায় আতিকুর রহমানের এক পুলিশ কনষ্টেবল গুরুত্বর আহত হয়েছে। আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে রামু ও সদর থানায় বিভিন্ন অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানান।
পুলিশ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রামু উপজেলার নন্দখালী ফারি খাল সংলগ্ন সৈয়দ ডাকাতের মৎস্য খামারের টং ঘরে থাকা ১০/১৫ জন ডাকাত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছলে ডাকাতা দল টের পেয়ে উক্ত টং ঘর থেকে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি বর্ষন করলে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে। এসময় ২ ঘন্টা পর্যন্ত গুলাগুলিতে উভয়ের মধ্যে শতাধিক গুলি বিনিময় হয়। ২টি বন্দু ও ধারালো রাম দা, ছুরিসহ ডাকাত আহম্মদ হোসেন ওরফে আহাম্মদ্যা (৩৮) পিতা- মৃত ফকির আহম্মদ,মিজানুর রহমান (৩০) পিতা-কালু ফকির, রবিউর ইসলাম (২২)সহ ২টি বন্দুক, কাতুর্জ, রাম দাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
এদিকে রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, ওসি তদন্ত শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে নন্দাখালী ফারি খালের পাড়স্থ মৎস্য খামার টং ঘরে একদল ডাকাত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেছিল। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে ডাকাত দল পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এসময় পুলিশও আতœরক্ষার্থে তাদের ওপর পাল্টা গুলি চালায়। এসময় পুলিশ অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তিন ডাকাতকে আটক করে। তারা অরো জানান, তাদের বিরুদ্ধে রামু ও সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পাঠকের মতামত: