কক্সবাজারের রামুতে এক ব্যক্তির দু পা কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় রামু’র সর্বমহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লামারপাড়া নামক স্থানে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত অনুমান দশটার দিকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরেন উখিয়ারঘোনা লামারপাড়ার ছৈয়দ আহমদের পুত্র পাঁচ সন্তানের জনক ফরিদুল আলম (৩০)। পরে ফরিদকে হঠাৎ তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী বন্য শুক্কুর ও তার বাহিনীর নেতৃত্বে ধারালো দা দিয়ে তার পা দুটি কেটে ফেলে। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা মুমুর্ষু অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে। আহত ফরিদুলের বড় বোন আয়েশা বেগম ও তার ভাই আজিজ জানান, আমার ভাই চট্টগ্রামের একটি হোটেলে চাকরি করত। ঈদের একদিন আগে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন শুক্কুর ও তার বাহিনীর লোকজন আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে দু পা কেটে ফেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি’র দুপা কেটে ফেলার কারণে তার পাঁচ সন্তানসহ পুরো পরিবার এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। বর্তমানে চিকিৎসার খরচ যোগাতে কষ্ট হচ্ছে তাদের এমনটিই জানালেন ফরিদুলের বোন। স্থানীয় মেম্বার আজিজুল হক ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ জানান, ঘটনার বিষয় অবগত আছি। তবে এ ধরনের লোমহর্ষক ঘটনা এলাকায় আর যেন না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, এক যুবককে দুই পা কেটে নিয়েছে বলে শুনেছি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্ত্রাসী বন্য শুক্কুরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবী জানান স্থানীয়রা। উক্ত ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পাঠকের মতামত: