ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মাতারবাড়ীতে প্রতারক ফরহাদের বিরুদ্বে ১৮লাখ টাকার আত্বসাতে মামলা

সালাম কাকলীঃ   কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার সাগরও নদী ঘেরা মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কুমিল্লা, ময়মনসিংহও বরিশালের ৬০ জন ব্যাক্তি থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ময়মনসিংহের আজিজ ও মাতারবাড়ীর ফরহাদ নামের এক প্রতারক। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কুমিল্লার আবু হানিফ ভূইয়া নামের এক যুবক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহেশখালী সার্কেল ও মহেশখালী ওসি বরাবর পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে। কুমিল্লা জেলার দেবীদার উপজেলার রাজা মেহার ইউনিয়নের উখারী গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসমাইলের পুত্র আবু হানিফ গত ২৪এপ্রিল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহেশখালী সার্কেলও মহেশখালী ওসি বরাবর পৃথক পৃথক অভিযোগে জানান, মাতারবাড়ী বাংলা বাজার এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব খানের পুত্র মোহাম্মদ ফরহাদ ও ময়মনসিংহ জেলার মোহাম্মদ আজিজ নেভী নির্মাণ কোম্পানীতে চাকুরী করছেন। এ সুবাদে নেভী নিমার্ণ কোম্পানীর কয়েকজন কর্মকর্তাকে ফরহাদের বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এসব কর্মকর্তার সাইন বোর্ড দেখিয়ে কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার আশ্বাসে ফেলে কুমিল্লার আবু হানিফকে। এতে সরল বিশ্বাসে তার এলাকার ৬০ জন লোক থেকে ১৮ লাখ টাকা নিয়ে অভিযুক্ত ফরহাদ ও আজিজের হাতে তুলে দেন।

বহুদিন এসব লোকদের কাজ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কাল বিলম্ব করতে থাকে। এ ঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাদেরকে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। সেখান থেকে কয়েকজন করে দৈনিক শ্রমিকের কাজে ব্যবহার করেন। চাকুরী দেয়ার নাম দিয়ে দৈনিক শ্রমিক কাজে ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকরা হানিফকে সাথে নিয়ে চাকুরী দেয়ার দাবীতে অভিযুক্ত ফরহাদ ও আজিজকে গত ২৩ এপ্রিল বাংলা বাজার এলাকায় ঘেরাও করে । এতে কোন কিছু বুঝে উঠার পূর্বে ফরহাদের নেতৃৃত্বে একদল সস্ত্রাসীরা ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তারা নিরুপায় হয়ে মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।

আইসি আমিনের পরামর্শে শ্রমিকদের পক্ষে আবু হানিফ বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল ২ ব্যক্তির বিরুদ্বে পৃথক পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করেন। তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহেশখালী সার্কেল।

এঘটনা সত্যতা জানার জন্য ১০/১২জন সাংবাদিক অভিযুক্ত ফরহাদের বাড়ীতে গেলে অভিযুক্ত আজিজ ও ফরহাদের বাহিনীর প্রধান হাশেম ও রমজান আলী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন।  এছাড়া অপর সন্ত্রাসী হাশেম মোবাইল থেকে জানান, বিষয়টি পত্রিকায় না লেখার অনুরোধ করেন। যেহেতু আমি অভিযুক্ত ফরহাদের মামা হিসেবে আবদার করতেছি। সর্বশেষ অভিযুক্ত আজিজের ও ফরহাদের মোবাইলে ফোন করে জানতে চাইলে তাদের ফোন ২টি বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নেভী নির্মাণ কোম্পানীর প্রধান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেন্টাশনের কর্মকর্তা গাজীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনা সত্যতা শিকার করে বলেন, এই ২ ব্যক্তির বিরুদ্বে অহরহ অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে নেভী কোম্পানীর শ্রমিকেদের থাকার যে সব ভাড়া ঘর রয়েছে ঐ সব ঘরে চাকুরী দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২শতাধিক লোক এনে রেখেছে বলেও লোকের মুখে মুখে।

নির্ভরযোগ্য একটি সুত্রে জানান, মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আমিনও জাহেদ মেম্বার স্থানীয় একটি দোকান থেকে এসব সিন্ডিকেটের ৬টি কাগজপত্র জব্দ করেছে। ঐ সওদাগর জানান, মাতারবাড়ী কৃষি ব্যাংকের উত্তর পাশে ভাড়া ঘরে বসবাস রত নেভী কোম্পানীর এক যুবক তাকে এ কাগজ রাখার জন্য দিয়েছে। পুরো মাতারবাড়ীতে এখন চলছে ফরহাদের বিরুদ্বে সমালোচনার ঝড়।

পাঠকের মতামত: