ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

মাছে সয়লাব জেলার হাটবাজার, সংক্ষনের ব্যবস্হা নেই

আতিকুর রহমান মানিক :::

ঘেরে উৎপাদিত রকমারী প্রজাতির মাছে সয়লাব হয়ে গেছে কক্সবাজার জেলার হাট-বাজার। কিন্তু সংরক্ষনের ব্যবস্হা না থাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমান মাছ নষ্ট হচ্ছে। বাগদা চিংড়ি চাষের ঘেরে সাথী ফসল হিসাবে উৎপাদিত লবনাক্ত পানির রকমারী প্রজাতির এখন মাছ হাটবাজারে উঠছে। তুলনামুলক কমদামে পাওয়া এসব মাছ বেশী প33রিমানে কিনে ক্রেতারা এখন ফ্রিজে সংরক্ষন করে রাখছেন। চিংড়ি ঘের মালিকরা জানান, বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, বাঠা, টেংরা (গুইল্লা), কোরাল, দাতিনা, ও ধুম মাছসহ অন্যান্য প্রজাতির তাজামাছ ঘের থেকে আহরনের দুই/এক ঘন্টার মধ্যেই বাজারে তোলা হচ্ছে। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী-কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় প্রতি বছর চিংড়ি উৎপাদন মৌসুমে বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি এসব মাছ উৎপাদিত হয়। বিগত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী মা-ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের সময় যখন সাগরে মাছ আহরন বন্ধ ছিল, তখন ভোক্তাদের আমিষের চাহিদা মিটিয়েছে এসব মাছ।  বিগত মাসাধিককাল ধরে জেলার চিংড়ি ঘের সমূহ থেকে আহরণকৃত বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু মাছ বাজারে বিক্রির জন্য তুলছেন ব্যবসায়ীরা। দ্বীপ উপজেলা মহেষখালী, কুতুবদিয়াসহ উপকূলীয় পেকুয়া, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকার চিংড়ি ঘেরে চিংড়ির পাশাপাশি এখন ধরা পড়ছে তাইল্যা, বাটা, দাতিনা, গুইল্যা, ঘঘ, ভেটকি (কোরাল), কেচকি ও লইল্যাসহ বিভিন্ন প্রজাতির লবনাক্ত পানির সু-স্বাদু মাছ। ফরমালিন, কেমিক্যাল ও বরফমুক্ত তাজা এসব মাছ ভোক্তাদের চাহিদা মিঠিয়ে পাঠানো হচ্ছে জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারে। চকরিয়া, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, মহেশখালী,  সদরের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র ঈদগাঁও বাজার ও জেলাশহরের বিভিন্ন  কাঁচাবাজারস্থ মাছ বাজারে এখন চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে আহরিত রকমারী প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছের সমারোহ। বাজারে উঠা মাছের মধ্যে তাইল্যা মাছ প্রতি কেজি ২০০, বাটা ২৫০, গুইল্যা ২৫০, দাতিনা  ২০০, বিভিন্ন সাইজের কোরাল মাছ ২০০-৪০০, ঘঘ মাছ ১০০-১২০, কেচকি ৮০-১০০, লইল্যা চিংড়ি ২৫০-৩৫০, চাগা চিংড়ি (ভানামী) ৪০০-৫০০ ও বাগদা চিংড়ি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাতের কাছে টাটকা এসব মাছ সুলভে পেয়ে ক্রেতারা আগ্রহ ভরে কিনে নিচ্ছেন। অনেকে আবার শুঁটকি করেও রাখছেন।  কক্সবাজার মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে প্রকাশ, চলতি বছর জেলার সমুদ্র উপকূলীয় ৬৫ হাজার একর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়েছে।

পাঠকের মতামত: