ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব সবজির বাজারে

ctg_picনিজস্ব ডেস্ক :::

বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সবজির বাজারে। পর্যায়ক্রমে দাম বাড়তে শুরু করেছে সবজির। গত প্রায় এক মাস ধরে স্থিতিশীল থাকা সবজির দাম হঠাৎ চড়াও হয়েছে। চট্টগ্রামের প্রধান কাঁচাবাজারগুলোতে প্রতি  কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার, কর্ণফুলী কাঁচাবাজার, বহদ্দারহাট, চকবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজার ঘুরে জানা যায়, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকা, গতকাল শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ঢেঁড়শ বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকা, গতকাল বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ৪০ টাকার বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৪০ টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ৩০ টাকার টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ২০ টাকার কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।

বাড়ছে কাঁচা মরিচের দামও। ৩০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। কিন্তু গতকাল বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ১৫০ টাকা।

বক্সির হাটের সবজি বিক্রেতা রিয়াজ মাহমুদ বলেন, বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রামে সবজি তুলনামূলক কম আসছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তবে গতকাল পর্যন্ত বাজারে মাছ ও মাংসের দাম স্থিতিশলী রয়েছে। গতকাল বক্সির হাটে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হয় ২২০-২২৪ টাকা। মৃগেল ১৪০ টাকা, কাতলা মাছ ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, লইট্রা মাছ ১২০ টাকা, সাগরের টাইগার চিংড়ি ৩৫০ টাকা, লাল চিংড়ি ২২০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা,পাঙ্গাস ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে হাঁড়ছাড়া ৬৫০ টাকা, হাঁড়সহ ৫৫০ টাকা।

রেয়াজুদ্দিন বাজারের মাছ বিক্রেতা ইলিয়াস বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের বাজার স্থিতিশীল আছে। কিন্তু সাগর ও বিভিন্ন জেলা থেকে যদি মাছ সরবরাহ কমে যায় আগামী সপ্তাহে দাম বাড়তে পারে। তবে মজুদ থাকার কারণে মাছের বাজারে দাম হয়তো বাড়বে না।

 

পাঠকের মতামত: