দেশে বৈদেশিক ঋণে নতুন করে আর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে না। ঋণের বদলে বিদেশিরা দরকার হয় আমাদের দেশে বিনিয়োগ করুক। আমরা প্রয়োজনীয় ভূমি দেবো’।
এসব কথা উল্লেখ করে এখন থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে আর ঋণে কোনো ধরণের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক ঋণের বদলে বিনিয়োগে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে ভালো হবে।
সৌর ও বায়ুশক্তি ব্যবহার করে ফেনীতে একশ’ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে সোনাগাজী উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় এক হাজার একর জমিতে গড়ে উঠবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র। সোনাগাজী উপজেলার ওই চরাঞ্চলে জনবসতি কম। তাই সেখানে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এ কেন্দ্র নির্মাণের পর খালি জায়গার যথাযথ ব্যবহারেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। এসব জমিতে মাছ চাষের ব্যবস্থাও থাকবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়ার সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় বায়ুচালিত এবং সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। বৈদেশিক ঋণে আর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে না’।
বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বিনিয়োগ করে না, ঋণ দেয়, তখন কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দরকার হয় আমরা বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ গ্রহণ করবো। ঋণের বদলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেবো’।
প্রকল্প অনুমোদনের সময় একনেকে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগের কথাও উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবদের বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার পানি কমে গেলে নদী ভাঙনসহ নানা দুর্ভোগ বাড়বে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব মানুষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। দরকার হয় বন্যাদুর্গত এলাকায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। কৃষকের কৃষিঋণে সুদের হারও ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণেরও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত: