দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে মনোনীত শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য মনোনীত হয়েছেন ১২ হাজার ৬১৯ জন। আবেদনকারী ছিলেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫০২ জন।
রোববার বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) প্রস্তুত করা এ তালিকা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এএমএম আজহার, মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছ ও সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিতরা সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই কাজটা অনেক কঠিন। কোনোভাবে মন্ত্রণালয় বা সরকারের বোঝার কোনো সুযোগ ছিল না, কোনো ধরনের তদবির বা স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসীকে নির্বাচিত শিক্ষকদের গ্রহণ করার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এএমএম আজহার বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান, পরিচালনা পর্ষদ ও প্রার্থীরা টেলিটকের এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। মনোনীতদের তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে (www.ntrca.gov.bd) পাওয়া যাবে।
তালিকা প্রকাশের প্রায় একবছর বন্ধ থাকার পরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও সমপর্যায়ের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শূন্যপদে ১৫ হাজার শিক্ষকের চাহিদা পেয়েছিল এনটিআরসিএ। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
৬ হাজার ৪৭০টি প্রতিষ্ঠান ১৪ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষকের চাহিদা এনটিআরসিএতে পাঠায়। বিপরীতে মোট আবেদন করে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৭ জন। এরমধ্যে নারী প্রার্থী ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৫ ও পুরুষ প্রার্থী ১০ লাখ ১৫ হাজার ৭১২ জন।
৭১৮ পদে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। আর বিভিন্ন কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে ৬৮৫ জনের আবেদন। মামলার কারণে কম্পিউটার শিক্ষক পদে ৬২ হাজার ৪৮ আবেদনের পর ১ হাজার ৯৫টি পদ স্থগিত রাখা হয়। ২০৪টি নারী কোটা পদে কোনো আবেদন পড়েনি।
পাঠকের মতামত: