ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পাহাড়ের জীববৈচিত্র রক্ষায় হাইকোর্টের রুল

বান্দরবানে ২২ সরকারি কর্মকর্তাকে বিবাদী করে মামলা

বান্দরবান প্রতিনিধি :: পাহাড়ের বন, জলাধার, নদী, ঝিরিসহ অন‍্যান‍্য জলধারা রক্ষায় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

জীববৈচিত্র সংরক্ষণের দাবিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মোট ২২ সরকারি কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে এই মামলায়।

জনস্বার্থমূলক এই মামলাটি করেছেন বান্দরবানের থানচি উপজেলার বাসিন্দা আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা।

গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেছে।

আগামী চার সপ্তাহর মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং মামলায় উল্লেখিত বিধি কেন অবৈধ, বেআইনী, অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তৎমর্মে কারণ দর্শানোর আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

মামলায় আবেদনকারী দি চিটাগং হিলট্র্যাক্ট ফরেস্ট ট্রানজিট রুলস ১৯৭৩ এর ৯ বিধির বৈধতা ও সাংবিধানিকতা চ‍্যালেঞ্জ করা হয়।

এতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, তিন পার্বত‍্য জেলার জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রধান বন সংরক্ষকসহ ২২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

মামলার বাদী ওবাথোয়াই মারমা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পার্বত‍্য এলাকায় একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে বন উজাড়, প্রাকৃতিক সৃষ্ট পাথর উত্তোলন এবং জলধারা ও জলাধার দখল করে পানির উৎস ধ্বংস করায় পাহাড়ি এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।”

সম্প্রতি স্কটল‍্যাল্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বন ও ভূমি ব্যবহারের বিষয়ে গ্লাসগো নেতাদের ঘোষণাপত্রের আলোকে উচ্চ আদালতে এই প্রতিকার চেয়ে মামলাটি করা হয়েছে।

রিট আবেদন শুনানি করেন আইনজীবী ড. মহিউদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইলিয়াছুর রহমান, এড.মুর্শেদুল ইসলাম।

এদিকে, হাইকোর্টে পাহাড়ের জীববৈচিত্র রক্ষায় এই মামলা তাৎপর্যপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক হিসেবে দেখছেন পরিবেশবাদীরা। পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ, প্রকৃতি সুরক্ষায় এই মামলা মাইলফলক হিসেবে দেখছেন তারা।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় নদী-ঝিরির জলাধার ধ্বংস করে প্রাকৃতিক পাথর উত্তোলন, বন ধ্বংস, পাহাড় কর্তনসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে কয়েকটি সিন্ডিকেট।

পাঠকের মতামত: