বান্দরবান প্রতিনিধি |বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ও মগ বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে।
ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী পাহাড় থেকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৩ জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৮ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইখ্যং পাড়ায় এলাকায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক) ও মগ লিবারেশন পার্টির (মগ বাহিনী) মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে।
সকালে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর দু’পক্ষের অস্ত্রধারীদের মধ্যে কয়েক দফায় থেমে থেমে গুলি বিনিময় হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, গোলাগুলির পর ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।
এসময় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনার পাশ্ববর্তী পাহাড় থেকে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নেমথাং বম এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক লাল লিয়ান ও সিম লিয়ান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের দাবি, সশস্ত্র দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে মোটরসাইকেল চালক একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরবর্তীতে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্য ধারণা করে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে নেমথাং বম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি দুস্থদের তালিকা তৈরি করে রোয়াংছড়ি সদরে ফিরছিলেন। অন্য দু’জন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক। তাদের বাড়ি রোয়াংছড়ি উপজেলার রনিন পাড়া এলাকায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোয়াংছড়ি থানার পরিদর্শক এসআই মোহাম্মদ শাকিল জানান, গুলিবিদ্ধ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো বান্দরবান হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, “গুলিবিদ্ধ তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। সশস্ত্র দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
পাঠকের মতামত: