ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতি বীরের জাতি। ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এ দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। এমন জাতি পৃথিবীতে কোনোদিন পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমরাও আর পিছিয়ে নেই।

মানুষের সেবা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে নেমে সরকার চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখেনি বলে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে সেগুলো শুধরে ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সরকারের একবছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রত্যয়ের কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সরকার গঠনের একবছর পূর্ণ হলো। গত একবছর আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে।আমরা সবক্ষেত্রে শতভাগ সফল হয়েছি, তা দাবি করব না। কিন্তু এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। সকলের সহযোগিতায় আমরা সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর দুয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের প্রশ্রয় দেইনি। জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মহল গুজব ছড়িয়ে অরাজকতা তৈরির মাধ্যমে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছে। আমরা জনগণের সহায়তায় দ্রুত সেসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের সবসময়ই এ ধরনের গুজব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর গত বছর সারাদেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও বেশকিছু প্রাণহানি ঘটেছে এই রোগে। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এডিস মশার বিস্তার রোধে আগে থেকেই সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিচ্ছি।

দেশের সাধারণ নাগরিকদের একজন হয়েই থাকতে চান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষকে ঘিরেই আমার সব কার্যক্রম। আপনাদের ওপর আমরা পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অসাধারণ পরিশ্রমী এবং উদ্ভাবন ক্ষমতাসম্পন্ন। যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে তারা নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম। অল্পতেই সন্তুষ্ট এ দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। জাতির পিতা আজীবন সংগ্রাম করেছেন এসব মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তার কন্যা হিসেবে আমার জীবনেরও একমাত্র লক্ষ্য মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমার ওপর ভরসা রাখুন— আমি আপনাদেরই একজন হয়ে থাকতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাঙালি জাতি বীরের জাতি। ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এ দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। এমন জাতি পৃথিবীতে কোনোদিন পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমরাও আর পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে দলমত নির্বিশেষে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে ভাষণ শেষ করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের একবছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সবশেষ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাঠকের মতামত: