ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাঁশখালীতে মাদ্রাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

mail.google.comপেকুয়া প্রতিনিধি :::

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চতুর্থ শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ছাত্রীর নাম জেবুন্নেছা নয়ন (১২)। সে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া এলাকার জাফর আলমের মেয়ে। সে পুঁইছড়ি সিনিয়র মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহষ্পতিবার (১৯মে) সন্ধ্যায় বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন নিজবাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে বলে পুলিশ সুত্রে জানিয়েছেন। নিহতের মা ফরিদা ইয়াসমিন জানিয়েছেন ওইদিন বেলা ১১টার দিকে স্বামীকে ডাক্তার দেখাতে তিনি পেকুয়ার চৌমুহুনীতে আসেন। এ সময় তার মেয়ে নয়নকে বাড়িতে রেখে যান। বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসা শেষে তারা বাড়িতে ফিরেন। এ সময় ঘরের বারান্দার সিলিংয়ে নয়নকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। নয়নের পিতা জাফর আলম জানায় বসতভিটার জায়গা নিয়ে তার সৎবোন রিনা আক্তার এবং তার স্বামী আনোয়ার কবির হিরুর সাথে বিরোধ চলছে। এনিয়ে তাদের সাথে মামলা-মোকাদ্দমাও চলছে। আগামি ২৮তারিখ আদালতে মামলার ধার্য্য দিন রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এর জের সৎবোন ও তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার নিষ্পাপ মেয়েকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন জাফর আলমের সাথে সৎবোন রিনা ও তার স্বামী আনোয়ার কবির হিরুর সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। প্রায় ৭-৮বছর আগে তারা এখানে ঘর-জামাই হিসেবে থাকত। ওইদিন জাফর আলম তার মেয়ে নয়নকে একা বাড়িতে রেখে চিকিৎসকের কাছে যায়। এ সুযোগে তাকে হত্যা করে। পরে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য ঘরের সিলিংয়ে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন গলায় ও মাথার চুলের ঝুটি রশি দিয়ে বাধা ছিল। ঘরের বারান্দার সিলিংয়ের সাথে ঝুলানো ছিল। নিহতের দাদি হোসনে আরা বেগম, ফুফি রিনা আক্তার ও তার স্বামী পালিয়ে গেছে। সুরতহাল রির্পোট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: