অনলাইন ডেস্ক ::
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা শিবির আবারো পানিতে তলিয়ে গেছে। বুধবার সকালে এই রোহিঙ্গা শিবিরটি তুমব্রু খালের পানিতে তলিয়ে গিয়ে সেখানকার প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। অনেকেই শিবিরের মাচান ঘর ও টিলায় অবস্থান করছেন।
এদিকে প্রবল বর্ষণের কারণে বান্দরবানের সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বান্দরবানের নিচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও বান্দরবান-রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান রুমা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের পুলপাড়া বেইলি ব্রিজ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে এখনো বন্ধ রয়েছে যানচলাচল। রুমা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ভেঙে মাটি পড়লে রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জেলা আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, শেরে বাংলানগরসহ নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
এদিকে বান্দরবানে পাহাড় ধসে নিহত পরিবারকে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রী এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিজনকে ৩০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। জেলা সদরসহ ৭টি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৭টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা বাস করছে তাদেরকে সরিয়ে নেয়ার জন্য। পরিবর্তন
পাঠকের মতামত: