ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বদরখালী ইউনিয়ন ও সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান বরণ্য ব্যক্তিত্ব হান্নান মিয়া আর নেই, আজ জানাযা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা উপকূলীয় জনপদের মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান এবং এশিয়ার বৃহত্তম সমবায়ী প্রতিষ্ঠান বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সাবেক সভাপতি-সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল হান্নান বিএ (৭৮) ইন্তেকাল (ইন্নালিল্লাহে—রাজেউন) কেেরছেন। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাধ্যক্ষজনিত রোগে ভুগছিলেন। প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল হান্নান বদরখালী ইউনিয়নের ২নম্বর ব্লকের ভারুয়াখালী পাড়া এলাকার মরহুম হাজি সোলতান আহমদের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।

বদরখালীর সামজিক, রাজনীতিক ও সমিতির পরীক্ষিত অভিভাবক আলহাজ আবদুল হান্নান প্রকাশ হান্নান মিয়ার মৃত্যুতে চকরিয়া উপজেলা তথা বদরখালীবাসী একজন গুনী মানুষকে হারিয়ে শোকাহত।

মরহুমের বড়ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা নুরে হাবিব তছলিম ও ছোটছেলে বদরখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ জানিয়েছেন, বুধবার বিকাল তিনটায় বদরখালী কলোনীজেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মররহুমের নামাজে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে জানাযায় সবাইকে শরীক হবার জন্য পরিবারের পক্ষথেকে অনুরোধ জানিয়েছেন ছেলে-মেয়েরা ও স্বজনরা।

এদিকে এদিকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি কামাল হোছাইন চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম, সাবেক এমপি এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, উম্মে কুলছুম মিনু, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টো, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, বাবু এমআর চৌধুরী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক চেয়ারম্যান, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, বদরখালী সমিতির সভাপতি হাজী নুরুল আলম সিকদার, সাবেক সম্পাদক দেলোয়ার হোছাইন এমএ, সাবেক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি মাস্টার শাহাব উদ্দিন, বর্তমান সম্পাদক খান জয়নাল আবেদিন, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন টিটু, চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক খলিল উল্লাহ চৌধুরী, বদরখালী সমিতির সাবেক পরিচালক শাহাব উদ্দিন শাকিল, আওয়ামীলীগ নেতা আনম হেফাজ সিকদার, জসিম উদ্দিন কিশোর, একে ভুট্টো সিকদার, চকরিয়া পৌর কৃষকলীগের সভাপতি সুলাল কান্তি সুশীল, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাইফু উদ্দিন মামুন, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ হায়দার আলী, সাবেক সভাপতি শেফায়েতুল কবির বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হোসেন শাকিব, সাদ্দাম হোসেন মিঠু, চকরিয়া পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ধুলু, চকরিয়া পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারুক লোটাস, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মারুফ, সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ, মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন বেলাল, চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা পারভেজ প্রমুখ।

বদরখালী জনপদের বরণ্য ব্যক্তিত্ব আলহাজ আবদুল হান্নান বিএ ১৯৬০ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে মেট্রিকুলেশন, একই বোর্ডের অধীনে ১৯৬৩ সালে ৩য় বিভাগ নিয়ে এইচ এস সি ও ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি,এ পাস করেন। তিনি মৃত্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান, ইউনিয়ন পরিষদ ও বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির একাধারে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিন্মে তার কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরা হলো-

বদরখালী কলেজ প্রতিষ্টাকালে কলেজ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন।১৯৯৯ ইং থেকে ২০০১ ইং পর্যন্ত কলেজ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ ইং থেকে ২০০৭ ইং পর্যন্ত কলেজ কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন। পূর্ব পাকিস্তান ইউনাইটেড ব্যাংক ১৯৬৬ ইং সালে অফিসার পদে যোগদান করে ১৯৬৯ ইং ম্যানেজার পদে উন্নীত হয়ে ১৯৭১ সালে চাকুরী থেকে অব্যাহতি নেই।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তীতে ১৯৭২ সাল থেকে সরকার মনোনীত ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ ইং থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত বদরখালী সমবায় কৃষিও উপনিবেশ সমিতির নির্বাচিত সম্পাদকের ও ১৯৭৭ ইং সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ এর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ ইং সাল থেকে ১৯৯১ ইং সাল পর্যন্ত নির্বাচিত বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব ও ১৯৯৪ ইং সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্তসমিতির নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ ইং সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত নির্বাচিত বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে মৃত্যুর আগমুর্হুত পর্যন্ত তিনি বদরখালী কলেজ কমিটির সদস্য হিসাবে দাযিত্ব পালন করে আসছেন।##

পাঠকের মতামত: