এম.জাহেদ চৌধুরী :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের অর্ধশত বছরের পুরাতন একটি ভবন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভবনটির পলেস্তারা খসে পড়েছে। কয়েকটি স্থানে বড় ধরণের ফাটল দেখা দিয়েছে। মালিকপক্ষ ভবনটি সংস্কার করতে চাইলেও ভাড়াটিয়ারা সরে না যাওয়ায় সংস্কার কাজ করা যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন মালিকপক্ষ।
জানা যায়, ১৯৬৫ সালে পেকুয়া আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকার বদিউল আলম সওদাগর একটি দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেন। ভবনটি নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৫ সালে একবার অগ্নিকান্ডের ঘটনাও ঘটে। এতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে ভবনটি।
বদিউল আলম মারা যাওয়ার পর ভবনটির মালিক হন তাঁর ছেলেরা। বদিউল আলমের ছেলে মালিকপক্ষের নাছির উদ্দিন ও আব্দুল্লাহ আল মোবাশে^র মানিক বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় একবার ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ভাড়াটিয়া মোকতার আহমদ ও আমির হোসেন ভবনটি ছেড়ে দিতে রাজি হচ্ছেন না। তাঁদের সেলামি পুষিয়ে দিতে চাইলেও তাঁরা রাজি হন না। এখন তাঁরা এক প্রকার ভবনটিতে জোরধ্বস্তি করে রয়েছেন।
মালিকপক্ষের নাছির উদ্দিন বলেন, ভাড়াটিয়ারা ভবনটি ছেড়ে না দেওয়ায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। সেখানেও ভাড়াটিয়ারা উপস্থিত হচ্ছেন না। তবে বর্তমানে অভিযোগটি শুনানীর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আব্দুল্লাহ আল মোবাশে^ও মানিক বলেন, আমরা নিজেদের ভবনটি সংস্কার করতে চাইলেও পারছি না। বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধ্বসে পড়ছে, অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। এতে মালিকপক্ষ দায়ী হচ্ছে। কিন্তু আমরা সংস্কার করতে চেয়েও পারছি না। ভবনটি ধ্বসে পড়লে নিজেরাও দায় এড়াতে পারবো না। এখন আমাদের কি করা উচিত, তাও বুঝে উঠতে পারছি না।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাহবুবউল করিম বলেন, অভিযোগটি শুনানীর পর্যায়ে রয়েছে। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভাড়াটিয়ারা ভবন ছেড়ে না দেন, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: