নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া:
পেকুয়ায় বিএনপির শান্তিপূর্ন মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ২৫ শে ডিসেম্বর বিকেলে পুর্ব নির্ধারিত বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে মিছিলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা গোদার পাড় এলাকায় ধানের শীষের মিছিল বের করলে স্থানীয় আ”লীগ নেতা শহিদ চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার ভাতিজা আরফাতও রিয়াদের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা ও গুলি বর্ষন করে। হামলায় জেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সালাহউদ্দিন, আলাউদ্দিন, আলী আহসান মুজাহিদ, বিএনপি নেতা এমজারুল, ইয়াছিন আরাফাত, হাসেম, কাইছার হামিদ সহ ১০ জন আহত হয়েছে। গুরতর আহত আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়ছার উদ্দিন, শ্রমিকদল নেতা ফোরকান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির পুর্ব নির্ধারিত মিছিল ফুলতলা ষ্টেশনে পৌছালে স্থানীয় নুরনবীর পুত্র জয়নালের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ-বিজিবি মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী ও ইউনিয়ন যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক মাহিনকে আটক করে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মগনামা ও উজানটিয়ার ৬জন বি.এন.পি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকে আটক করা হয়েছে।
উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টু বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শান্তিপূর্ণ বিএনপির মিছিলে আলীগ নেতারা সশস্ত্র হামলা করে আহত করেছে। পুলিশ উল্টো আমার নেতাকর্মীকে বিভিন্ন বসতঘরে অভিযান চালিয়ে আটক করে। এদিকে আহত নেতাকর্মীদেরকে হাসপাতালে দেখতে ছুটে যান কক্সবাজার ১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমেদ। তিনি গিয়ে আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকের হোসেন ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিব না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: