ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে বসতি নির্মাণের অভিযোগ

পেকুয়া প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। নির্বিচারে পাহাড় এবং গাছপালা কাটার কারণে পাহাড়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অপরিকল্পিত বসতি স্থাপন এবং অবকাঠামো নির্মাণের ফলে পাহাড় ধসে প্রাণহানির সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটা ও অবৈধ বসতি নির্মাণের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করলেও স্থানীয় বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় কার্যকর ভূমিকা না রাখায় পাহাড় কেটে বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালী পক্ষ।

বারবাকিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল শিলখালী ইউপির পূর্ব ভারুয়াখালীতে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিনা বাধায় শ্রমিকেরা বিশাল একটি পাহাড় কাটছেন। অন্যদিকে নতুন পাকা ঘর তৈরির কাজও চলছে। পুরো পাহাড়ের ওপর ও পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক কাঁচা, সেমিপাকা ও টিনের তৈরি ঘর।

স্থানীয় বাসিন্দা আহমদ হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন, নুরুল হোসেনের ছেলে মফিজুর রহমান ও আরফাত বলেন, শিলখালী ইউপির পূর্ব ভারুয়াখালী এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন আক্তার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীদের ভাড়া করে বিশাল একটি পাহাড় কেটে সাবাড় করেছেন। রাজা মিয়ার ছেলে দুলাল এর মাধ্যমে একটি পাকা ঘর তৈরি করছেন তিনি। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের বিষয়টি বারবাকিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও পেকুয়া থানায় অবগত করি। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে চলে আসার পর রেঞ্জ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আবারো পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখে তারা। এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত রাখলে ভয়াবহ পরিবশে বিপর্যয়ের আশঙ্খা রয়েছে।

পাহাড় কেটে ঘর তৈরির অভিযোগে অভিযুক্ত শারমিন আক্তার বলেন, বনবিভাগের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করেছি। এভাবে পাহাড় কাটলে পরিবেশ বিপর্যয় হবে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমরা পাহাড় কাটবো আপনাদের যা করার করেন।

তবে রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পাহাড় কেটে ঘর তৈরির বিষয়টি জানার সাথে সাথে সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এরপরও যদি পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: