ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় চারশত মানুষকে হত্যার হুমকি দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী! নির্বাচনী সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা

ািাাপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় চারশত মানুষকে হত্যার প্রকাশে হুমকি দিলেন লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.ইউনুস চৌধুরী। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ভোট কারচুপির আশ্রয় নিলে প্রতিদ্বন্ধি ওই প্রার্থী সংঘাতময় পরিস্থিতির আগাম ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ভোট কাটাকাটি হলে তার সাথে বর্তমান সরকার পেরে উঠবেনা। সহিংসতার প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে জাতীয় পার্টির ওই প্রার্থী বীরদর্পে বলেছেন প্রয়োজনে নির্বাচনের দিন আমার পক্ষ থেকে চারশত মানুষকে টার্গেট করা হবে। এসব মানুষকে প্রয়োজনে গুলি করে হত্যা করা হবে। প্রয়োজনে ভোটের দিন মগনামায় এক ট্রাক অস্ত্র আনা হবে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকায় লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস চৌধুরীর সমর্থনে এক নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। শরতঘোনা মন্ত্রী পরিষদ সাইক্লোন শেল্টারে ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম বাজারপাড়া এলাকার কাছিম আলী। ওই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জাতীয়পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মগনামা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো.ইউনুস চৌধুরী। স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস চৌধুরী হুংকার দিয়ে বলেছেন মগনামায় ভোট কারচুপি ও অনিয়ম সহ্য করা হবেনা। আ’লীগ যে উদ্দেশ্যে নিয়ে নির্বাচন করছে তা জাতীয়পার্টি ও আমি ইউনুস চৌধুরী প্রতিহত করব। স্থানীয় সাংসদ হাজ্বি মো.ইলিয়াছের উদ্বৃতি দিয়ে ওই প্রার্থী বলেছেন প্রশাসন এমপির ইশারায় কাজ করবে। ভোট কাটাকাটি হলে এখানে জাতীয় পার্টি কাটবে। এদিকে ওই নির্বাচনী সমাবেশকে ঘিরে সাধারন ভোটারদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশ থেকে আ’লীগ ও মানুষ হত্যার প্রকাশ্যে এ ধরনের হুংকারে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। সাধারন ভোটাররা চেয়ারম্যান প্রার্থীর এ ধরনের বক্তব্যে চরম হতাশ ও হতভাগ হয়েছেন। ওইদিন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস চৌধুরী শোডাউন সহকারে শরতঘোনায় নির্ধারিত নির্বাচনী সমাবেশে উপস্থিত হন। আ’লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে মিছিলেও নৌকা প্রতীক ও প্রার্থীকে নিয়ে বিদ্বেষপুর্ন ও উত্তেজনাকর শ্লোগান দেয়া হয়েছে লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষ থেকে। ওই সমাবেশে প্রায় অর্ধ শতাধিক ভাড়াটে অস্ত্রধারীও যোগ দেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে ওই সমাবেশে বেশ কয়েকজন হত্যা মামলাসহ ফেরারী আসামি ছিলেন। এমনকি তারা বক্তব্যও দিয়েছেন। এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল এনাম এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন দলের শৃংখলা ভঙ্গ করে নৌকাকে পরাজিত করতে বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে প্রার্থী হয়েছেন। নৌকার নমিনেশন না পেয়ে লাঙ্গলের প্রার্থী হয়েছে। এটা দলের সাথে মীর জাফরী। আর এখন আ’লীগ নেতাকর্মীদের তার সমাবেশ থেকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচন বানচাল করতে অস্ত্রের হুংকার দিচ্ছে। আমি এসব তোয়াক্কা করিনা। যার কিছু নেই সে ফাঁকাফাঁকি করে। জনগন আমার সাথে আছে। ৩১মার্চ তারাই এসবের সমুচিত জবাব দেবেন। আমি ও আ’লীগের সাথে কিসের সন্ত্রাসী।

 ######################

পেকুয়ায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থীর অপপ্রচার

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এম.শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম মিন্টু। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ওই দুই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তত নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। আগামী ৩১ মার্চ পেকুয়ার সবক’টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হবে। দুই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বিজয় ছিনিয়ে আনতে নির্বাচনী মাঠকে সরগরম করেছেন। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম মিন্টু আকষ্কিভাবে অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তার নির্বাচনকে ব্যহত করার চেষ্টা করছেন। অবাধ, সুষ্টু নির্বাচন অনুষ্টানে তিনি সন্দিহান হয়েছেন। এনিয়ে রেজাউল করিম মিন্টুর উদ্ধৃতি দিয়ে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মিডিয়াতে বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেছেন তাকে হুমকি দিয়েছেন খোদ চেয়ারম্যান। এদিকে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর উজানটিয়া ইউনিয়নে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর আনীত অভিযোগ ভোটাররা সরাসরি প্রত্যাখান করেছেন। তারা এটিকে ডাহা অপপ্রচার আখ্যায়িত করে এধরনের রং ছিটানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার ও প্রতিবাদ মুখর হয়েছেন। তারা বিএনপি প্রার্থীর এ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। এদিকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগসহ উজানটিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন। তারা জানিয়েছেন, শহিদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর চেয়ে ব্যাপকভাবে এগিয়ে রয়েছেন। উজানটিয়ার জনগন উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে বিএনপির প্রার্থীকে বয়কট করেছেন। নির্বাচনে জনগন নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এম.শহিদুল ইসলামের নিশ্চিত বিজয় জেনে বিএনপির প্রার্থী অপপ্রচারে নেমে আবোল-তাবোল প্রলাপ বকছেন। আমরা তার এসব চক্রান্ত বিশ্বাস করিনা। শহিদ চেয়ারম্যান জনপ্রিয়। তাকে ভোট দেওয়ার জন্য আমরা অধীর আগ্রহ নিয়ে আছি। ব্যালটের মাধ্যমে তার বিজয় সুনিশ্চিত করবো। সারাদেশে বিএনপিকে মানুষ না জানিয়েছে। আমরা উজানটিয়াতেও বিএনপিকে না জানাবো। গতকাল উজানটিয়ার বিভিন্ন এলাকায় এনিয়ে স্থানীয় সাধারন ভোটাররা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নাউপেপ্র

পাঠকের মতামত: