ঢাকা,সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে চকরিয়া থেকে উদ্ধার

indexপেকুয়া প্রতিনিধি ::::::

পেকুয়ায় চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে চকরিয়ার পৌর শহর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নাম নাম রোমানা সোলতানা সানি (১০)। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাহ ঘোনা এলাকার আবুল কাসেমের মেয়ে। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌর সভার চিরিংঙ্গা নিউ মার্কেট সংলগ্ন স্থান থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে পেকুয়ার সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে এ খবর ছাত্রীর অভিভাবকদের জানালে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে উদ্ধার করে পেকুয়ায় নিয়ে আসা হয়। তবে অজ্ঞান থাকায় সন্ধ্যার দিকে তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে রোমানা সোলতানা সানি সকালে বাড়ি থেকে পেকুয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। এ সময় সে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। দুপুরের দিকে তাকে অচেতন করে চকরিয়া পুরাতন বাসটার্মিনাল সংলগ্ন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় হঠাৎ তার জ্ঞান ফিরে। তাকে অচেনা এক ব্যক্তি গাড়িতে তুলতে হাত ধরলে ওই ছাত্রী দ্রুত সটকে পড়ে। এক পর্যায়ে অপহরনকারীর হাত থেকে বাচতে ছাত্রী সানি বৃষ্টির মধ্যে দ্রুত একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। মের্সাস ছরওয়ার এন্ড সন্স এর ম্যানেজার মহিউদ্দিন ব্যবসায়ী তার ঠিকানা জানতে চাইলে সে অকপটে বাবা ও তার বাড়ির ঠিকানা বলেন। পরে মহিউদ্দিন বিষয়টি মুঠোফোনের মাধ্যমে পেকুয়ায় কর্মরত সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসাইন সুজনকে অবহিত করেন। বিকেলে শাখাওয়াত হোসাইন সুজন, সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেম, সাংবাদিক নাজিম উদ্দিনকে নিয়ে ছাত্রীর পিতা আবুল কাসেম ও চাচা আবু ছৈয়দ ওই স্থানে যান। এ সময় সংবাদকর্মীদের সহায়তায় সানিকে তার পিতার হাতে তুলে দেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে সানির পিতা পেকুয়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী আবুল কাসেম জানায় আমার মেয়ে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী। প্রতিদিনের মত সে বিদ্যালয়ে যায়। আমি আমার মেয়েকে ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় ফিরে পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞ। না হলে আমার বড় বিপদ হয়ে যেত।

পাঠকের মতামত: