নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন করছে বনানী ফুডস এন্ড বেভারেজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন স্থানে খাদ্যপণ্য উৎপাদন, নিয়ম না মেনে বায়োগ্যাস প্লান্টের পাশে কারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন অনিয়ম চলে আসলেও এর বিরুদ্ধে দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালের শেষের দিকে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের আলী চাঁন মাতবর পাড়া এলাকায়য় স্থাপিত হয় বনানী ফুড এন্ড বেভারেজ নামের এ বেকারি। এর কিছুদিন পরেই এ কারখানার পাশে স্থাপন করা হয় একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট। মুরগির বিষ্ঠা থেকে গ্যাস উৎপাদনের পর খোলামেলা ভাবে রাখা হয় এর উপজাত। যা থেকে দুষিত হচ্ছে খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী কারখানা এলাকার পরিবেশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন স্থান ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিয়মবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় এ কারখানার খাদ্যপণ্য সমূহ উৎপাদন করা হয়। বনানী ফুডের তৈরিকৃত খাবারে থাকেনা উৎপাদন বা মেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ। তাই এসব খাদ্য খেয়ে মারাত্মক শারীরিক জটিলতায় ভুগতে পারে মানুষ।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, কারখানা মূল কক্ষে অত্যন্ত অপরিষ্কার ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে কেক পাউরুটি সহ বিভিন্ন খাদ্যপন্য। পাঁচজন শিশু শ্রমিক সহ সেখানে কর্মরত ১২জন শ্রমিক কেউ পরিধান করেননি গ্লাভস, মানেননি ড্রেসকোড। খাদ্যপণ্য উৎপাদনের জন্য আনা কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য রাখা হয়েছে খোলা স্থানে। যেখানে রয়েছে মাছি পিপড়া সহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের উপদ্রব। এছাড়া প্যাকিং করার সময় কোন পণ্যের প্যাকেটে দেয়া হচ্ছে না মেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ। বাজার ঘুরেও তাদের পণ্যের গাঁয়ে মেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ না থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এদিকে এসব অনিয়মের পক্ষে সাফাই গেয়ে বনানী ফুডস এন্ড বেভারেজের ম্যানেজার ইফতেখার উদ্দীন মাহমুদ বলেন, পেকুয়ায় অন্যান্য বেকারীর তুলনায় আমাদের প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত পরিচ্ছন্নভাবে উৎপাদন কাজ করা হয়।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবউল করিম বলেন, পেকুয়ায় খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
পাঠকের মতামত: