জহিরুল ইসলাম, কক্সবাজার ::
কক্সবাজারের সমুদ্র উপকুলীয় উপজেলা পেকুয়ার মগনামায় ৩কি:মি বেড়িবাঁধ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ বিধস্থ ভাঙ্গাবাঁধ দিয়ে সমুদ্রের কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়ে এলাকায় বসবাসরত মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও চিংড়ীঘের ও ধানী জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পউর) বিভাগ গত ১৫-১৬ অর্থবছরের ৬৪/২বি পোল্ডারের ৭কি:মি: ভাঙ্গাবাঁধ মেরামত ও সিসি ব্লগ বসিয়ে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা মূলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কাজের দায়িত্ব পান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। ইতিমধ্যে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ৪কি:মি: বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও প্রতিরক্ষা মূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক আতিকুল ইসলাম জানান।
মগনামা ইউনিয়নের মগনামা জেটিঘাট, শরৎঘোনা ও কাঁকপাড়ায় রিভার সাইড় ও কান্ট্রি সাইড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হুকুম দখলকৃত কোন জমি না থাকায় মাটির অভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ওই ৩টি পয়েন্টে মাটির অভাবে এখনো বাঁধ নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু করতে পারেনি। এ অবস্থার পেক্ষিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালকের বরাবরে কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি লিখিত আবেদন পাঠানো হয়েছে। তার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিধস্তবাঁধ এলাকায় সিসি ব্লক তৈরীর কোন উপযুক্ত জায়গা না থাকায় ৫০কি:মি: দুরে চকরিয়ার হাসের দিঘি ও লামা এলাকায় তিনি ব্লক তৈরীর কাজ সম্পন্ন করেছেন। তৈরীকৃত ওই ব্লক গুলো সাইড এলাকায় পরিবহনের জন্য পরিবহন বিল না দেয়ায় তৈরীকৃত ওইসব সিসি ব্লক সাইড এলাকায় পৌছাতে পাচ্ছে না।
বিধস্ত বেড়িবাঁধ এলাকায় রিং বাঁধ না দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ও জোয়ারের পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় মাটির বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। সিডিউলে রিং বাঁধ নির্মানের জন্য কোন বরাদ্ধ না থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্টান রিং বাঁধ নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন। এছাড়া ট্রাস্টফোর্স কতৃক তৈরীকৃত ব্লক গুলো এক মিলি বা দই মিমি সাইজের কম থাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকার তৈরীকৃত ব্লক বাদ দেয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্টানটি চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধানের জন্যে উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে একটি তদন্ত ঠিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত ঠিম কতৃক দরপত্রের বর্তমান বাজার দর মূল্যায়ন ও প্রাক্কলিত কাজের রিভাইজ করার প্রচেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসী এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করে মগনামার তিন কি:মি: অরক্ষিত রেড়িবাঁধ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবী জানিয়েছেন। ###
পাঠকের মতামত: