ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পবিত্র কাবা’র গিলাফের চট্টগ্রামের ক্যালিগ্রাফার সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পেলেন

ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম ::
সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পেয়েছেন পবিত্র কাবা’র গিলাফের (কিসওয়াহ) ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মুকতার আলিম।

সৌদি আরবের বাদশাহ’র এক রাজকীয় নির্দেশনায় বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন পেশার দক্ষ বিদেশি নাগরিকদের সৌদি আরবে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণার পর প্রথম দিনে নাগরিকত্ব লাভ করেন বাংলাদেশের মুকতার আলিম। তিনি প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে মক্কার পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, ইতিহাসবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক, বিনিয়োগকারী, প্রযুক্তিবিদ, ক্রীড়াবিদসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিদেশিদের নাগরিত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। প্রথম দিন পাঁচ বিদেশি নাগরিককে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’-এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন পেশার দক্ষ বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার এ রাজকীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নাগরিকত্ব পাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন পবিত্র কাবার গিলাফের (কিসওয়াহ) প্রধান ক্যালিগ্রাফার মুকতার আলিম, ইতিহাসবিদ ড. আমিন সিদো, ড. আবদুল করিম আল সামমাক, প্রখ্যাত গবেষক ড. মুহাম্মদ আল বাকাই ও প্রখ্যাত নাট্যশিল্পী সামান আল আনি।

মুকতার আলিমের পরিচয়ে বলা হয়, মুকতার আলিম বর্তমানে সৌদি আরবের মক্কার কিসওয়াহ কারখানায় প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও ফোরামে তাঁর প্রধান ক্যালিগ্রাফিগুলো প্রদর্শিত হয়েছে। ক্যালিগ্রাফি দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পাঠদান করেন। মক্কার দ্য ইনস্টিটিউট অব হলি মস্ক তথা পবিত্র মসজিদুল হারাম পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে ক্যালিগ্রাফি বিষয়ক তাঁর পাঠ শেখানো হচ্ছে।

মুকতার আলিম মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে পিএইচডি গবেষণারত। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্লোমা, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের সার্টিফিকেটের ক্যালিগ্রাফার হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থা থেকে অসংখ্য পুরস্কার ও প্রশংসার সনদ পেয়েছেন তিনি।

জানা যায়, মুকতার আলিম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের রশীদের ঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মুফিজুর রহমান বিন ইসমাঈল শিকদার। মা শিরিন বেগম। মুকতারেরা চার ভাই ও এক বোন। তাঁর বাবা কর্মজীবনের শুরুতে কিছুদিন ঐতিহ্যবাহী চুনতি হাকীমিয়া আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি দীর্ঘ সময় সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফার্মাসিস্ট হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন। মূলত বাবার কর্মসূত্রে পরিবারের সদস্যেরা দীর্ঘ সময় সৌদিতে কাটিয়েছেন। বর্তমানে মুকতার তাঁর মা, স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে পবিত্র নগরী মক্কায় আছেন।

পাঠকের মতামত: