বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই আমরা। সেই জন্য আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নবম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা অব্বাসের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আপনাদের সুবিধা মতো একটা নির্বাচন কমিশনের অধীনে সাজানো নির্বাচনে আমরা বিশ্বাস করি না। আপনাদের সরকার ও আপনাদের লোক দিয়ে একটা সাজানো নির্বাচন করবেন, তা হবে না, জনগণ তা মেনে নেবে না।
১/১১ প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফখরুদ্দীন-মঈনদের অবৈধ সরকারের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করা। সেদিন তাদের কথা মতো বিএনপির চেয়ারপারসন যদি দেশের বাইরে চলে যেতেন, তাহলে শেখ হাসিনা কোনো দিন দেশে ফিরতে পারতেন না, প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠনের দাবি জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটি গঠনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল থেকে ৫ জন নির্বাচন কমিশনের সদস্য নির্বাচিত করে তাতে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিতে পারে। এটা একটা পথ হতে পারে। না হলে এই নির্বাচন কমিশন কিংবা রকিব উদ্দিন মার্কা নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশের জনগণের সুষ্ঠু ভোট হবে না।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে আন্দোলন চলছে এবং ভবিষ্যতে হবে, তাতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে শরিক হতে হবে।’
পাঠকের মতামত: