নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি ::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে এক ইউপি মেম্বারকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে এবং পরক্ষণে ছেড়ে দেয়। সন্ত্রাসীরা এ সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
আহত মংহ্লা অং তংচঙ্গ্যা ওই এলাকার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার। বর্তমানে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে গুরুত্বর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীনে রয়েছেন। এদিকে শনিবার সকালে খবর পেয়ে আহত ইউপি সদস্যকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম সরওয়ার কামাল ও আওয়ামীলীগ সদস্য সচিব মোঃ ইমরান মেম্বার।
কর্মরত চিকিৎসক জানান, ইউপি সদস্যের মাথায় আঘাতে রক্তকরণ হলেও এখন বন্ধ হয়েছে। যথাসময়ে চিকিৎসা দেয়ায় এখন আশঙ্কা মুক্ত ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে উপজেলার ৫নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাইয়াঝিরিপাড়ায় ৬/৭ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী স্থানীয় ইউপি সদস্য মংহ্লা অং তংচঙ্গ্যার বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করে । পরে ইউপি সদস্য মংহ্লা অং তংচঙ্গ্যাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যান বাহাইন মার্মার উপর হামলার ২১ দিন পর ইউপি সদস্য মংহ্লা অং তং গ্যাকে একি কায়দায় হামলা করেছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। এ ঘটনার পর ওই তংচঙ্গ্যা উপজাতীয় পল্লীতে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসর এসএম সরওয়ার কামাল জানান, অস্ত্রধারীরা অপহরণের চার ঘণ্টা পর ওই ইউপি সদস্য বাড়িতে ফিরে আসে। তাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে এবং এলাকায় বিজিবি এবং পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একই কায়দায় সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বাহান মার্মার উপর হামলা করেছিল একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা । ওই ঘটনায় আতঙ্কে চাক সম্প্রদায়ে পাঁচটি পরিবার এলাকা ছাড়া হয়ে পার্শ্ববর্তী সদরে আশ্রয় নেয়।
পাঠকের মতামত: