ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশে ফিরেছেন খালেদা

সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে অ্যামিরাটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মুজিবুর রহমান সারোয়ারসহ বিএনপির কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয় বিমানবন্দর এলাকায়। দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার-ফেসটুন হাতে নিয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এক পর্যায়ে সেখানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা সমাগম হয়। তবে দলের সিনিয়র নেতাসহ কাউকেই বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়নি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক পর্যায়ে বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। ওদিকে বিমানবন্দর চত্ত্বরে ঢুকতে না পারলেও দলের নির্দেশনা মেনে নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০ মিনিট পর বেরিয়ে আসে তার গাড়িবহর। বিমানবন্দর থেকে গুলশান-২-এkhaleda-zia নিজের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা হন তিনি। পথে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত হয়ে বিশ্বরোড পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে বিভিন্ন পয়েন্ট জড়ো হয়ে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান। ওদিকে গতকাল ভোরে জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে খালেদা জিয়া ও লন্ডনের উদ্দেশে বিএনপি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও জিয়া পরিবারের বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, কন্যা জায়মা রহমান, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান অ্যামিরাটস এয়ারলাইন্সের একই ফ্লাইটে সৌদি আরব ছাড়েন। সেখানে বিএনপি সৌদি আরব প্রবাস শাখার সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব ও প্রধান উপদেষ্টা আবদুর রহমানসহ নেতা-কর্মীরা তাদেরকে বিদায় জানান। দুপুর দেড়টায় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছেলে তারেক রহমান, নাতনী জায়মা রহমান ও দুই পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান এবং শর্মিলা রহমানকে বিদায় জানান খালেদা জিয়া। তারা অ্যামিরাটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে দুবাই ছেড়ে যান। দুবাইতে তিন ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকাগামী অ্যামিরেটসের একটি ফ্লাইটে দুবাই ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন। এর আগে হজ পালনের জন্য গত ৮ই সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যান খালেদা জিয়া। কাছাকাছি সময় লন্ডন থেকে যাত্রা করে জেদ্দায় তার সঙ্গে একত্রিত হন তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা একসঙ্গে হজ পালন করেন। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৯৭ সালে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে আগেও দুইবার পূর্ণ হজ করেছেন খালেদা জিয়া। তবে প্রায় প্রতিবছরই রমজানে রাজকীয় অতিথি হিসেবে ওমরাহ পালন করেন তিনি। ২০১৪ সালে এক সঙ্গে ওমরাহ পালন করলেও তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান, কন্যা জায়মা রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের একটি প্রথম হজ পালন। এছাড়াও এবার তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু, ডা. জোবায়দা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু, তার স্বামী সৈয়দ শফিউজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা, একান্ত সচিব, আলোকচিত্রী এবং গৃহকর্মীসহ কয়েকজন হজ পালন করেছেন।

পাঠকের মতামত: