নিউজ ডেস্ক ::
ভারতের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা নাসিক ও ব্যাঙ্গালুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সম্প্রতি ভারতে পণ্যটির দাম সামান্য বেড়েছে। এ খবরে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ১৫ দিনের ব্যবধানে বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ফলে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসছে পেঁয়াজের বড় বড় চালান। চলতি মাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিন টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে মিয়ানমার থেকে।
ইতোমধ্য বাজারের দাম স্বাভাবিক রাখতে আরও কয়েক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দুই-তিনদিনের মধ্যে স্থলবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সর্বশেষ বৃস্পতিবার টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে ২৮ হাজার বস্তা ভর্তি পেঁয়াজ আটটি ট্রলারে করে এম এ হাসেম, এহতেশামুল হক বাহাদুর, শওকত আলম, মো. ফারুক মো. জব্বারের কাছে আসে। এসব ট্রলারে ৮০০ মেট্রিন টন পেঁয়াজ ছিল। শ্রমিকরা পাচঁটি পয়েন্টে পেঁয়াজের বস্তাগুলো ট্রলার থেকে খালাস করে ট্রাকে বোঝাই করেছেন। পরে স্থলবন্দর ফেকে পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাকগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থলবন্দর ছেড়ে যায়।
স্থলবন্দর শুল্ক ষ্টেশন সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ হাজার ৫২২ দশমিক ৭৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে মিয়ানমার থেকে। এসব পেঁয়াজ ১০-১২ জন ব্যবসায়ী আমদানি করেছেন। এর আগে সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ৯৮৮ মেট্রিক টন, আগস্টে ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, ভারতের ওপর নির্ভর করে আমরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। এবারও সেখানে পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছি।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আমরা তেমন বেশি লাভবান হচ্ছি না। তাছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও এখানে সেটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।’
জানতে চাইলে টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘বাজারের পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। তাছড়া পেঁয়াজ পঁচনশীল পণ্য। ফলে রাত-দিন ২৪ ঘন্টায় ডেলিভারি দিচ্ছি। যাতে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকে। সমকাল
পাঠকের মতামত: