আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::
দক্ষিণ কোরিয়ার গান ও ভিডিও দেখার অপরাধে উত্তর কোরিয়ায় কমপক্ষে ৭ জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই সাত জনের বিরুদ্ধে ‘কে পপ’ (দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ গান)-সহ বিভিন্ন ভিডিও দেখা ও অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার অভিযোগ আনা হয়।
সিউল-ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রকাশিত নতুন একটি রিপোর্টের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার। এতে করে উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ফের বড়সড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নতুন ওই রিপোর্টে সিউল-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ গান ‘কে পপ’-এর ভিডিও দেখা এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার ‘অপরাধে’ ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কমপক্ষে সাত জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এর মধ্যে কেবল হেসান প্রদেশেই ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে।
শুধু তাই নয়, ওই সময়ে কিমের নির্দেশে প্রিয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেখতে নিকটাত্মীয়দের বাধ্য করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিম এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বলেও রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ২০১৫ সাল থেকে অন্তত ৬৮৩ জন কিম-বিরোধী উত্তর কোরীয় নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছে সিউল-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি। সেখান থেকে জানা গেছে, কিমের প্রথম পাঁচ বছরের শাসনামলে নানা কারণে ৩৪০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই তালিকায় রয়েছেন কিমের চাচা জ্যাং সং থেক এবং উত্তর কোরিয়ার তৎকালীন সেনাপ্রধান রি ইয়ং হো।
এদিকে কিম জং ইলের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উত্তর কোরিয়ায় একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ১১ দিন। মূলত এই ১১ দিন সেখানে রাষ্ট্রিয় শোক জারি থাকবে। এসময় হাসাহাসি, দোকান এবং খাবার-দাবারের ওপরও আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, টানা ১১ দিন চলবে না মদ্যপান। দেশবাসীর চোখেমুখে কোনো ভাবেই যেন খুশির ঝলক দেখা না যায়। এই কয়েকদিন কারও জন্মদিন পালন করা যাবে না। এক কথায় এই ১১ দিন উত্তর কোরিয়ায় পালিত হবে রাষ্ট্রীয় শোক।
পাঠকের মতামত: