নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও চকরিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে বয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী হাওয়া। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ডুলাহাজারায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে নৌকার টিকিটের আশায় মাঠে একাধিক তরুণ প্রার্থী চষে বেড়ালেও সরকার দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া কমপক্ষে অর্ধডজন। তাদের চলছে লবিং তদবির ও দৌড়ঝাপ।
কক্সবাজার সহ সারা দেশে স্থগিত থাকা ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গত ২০ সেপ্টেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পূর্ব ঘোষণা মতে, পরবর্তী ধাপের নির্বাচন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী মাসে অথবা ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোন সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ পেতে ‘সম্ভাব্য প্রার্থী’ ঘোষণা দিয়েছে প্রায় এক ডজন। তাদের মধ্যে সাংবাদিকসহ সর্বাধিক সংখ্যক রয়েছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তবে মাঠে দেখা মিলছে না বিএনপি দলীয় কোন প্রার্থীর।
সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আমিনসহ চকরিয়া উপজেলা আওয়ামিলীগের সহসভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ তালুকদার, কক্সবাজার জেলার ক্রীড়াবিদ ও সাংবাদিক এম.আর মাহাবুব, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ আজিজুল মন্নান, সাবেক ছাত্রনেতা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সদস্য কলিম উল্লাহ কলি, উপজেলা যুবলীগ সদস্য হাসানুল ইসলাম আদর, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিনহাজ হোছাইন জিকু ও জামায়াত নেতা মোজাম্মেল হক। লোকমুখে প্রচারণা চললেও নিজ থেকে চুড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে আরো কয়েক জনের। তারা হলেন বিএনপি থেকে সোহেল মাহমুদ ভুট্টো, মাষ্টার মোস্তাফিজুর রহমান, ডুলাহাজারা ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা গিয়াস উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন।
আওয়ামিলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে নৌকা প্রতীকের জন্য লবিং চালাচ্ছেন অর্ধ ডজন সম্ভাব্য প্রার্থী। তারা হলেন মোক্তার আহমদ চৌধুরী, শাহনেওয়াজ তালুকদার, ডাঃ আজিজুল মন্নান, কলিম উল্লাহ কলি, হাসানুল ইসলাম আদর, মিনহাজ হোছাইন জিকু।
দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগাম বার্তায় নড়েচড়ে বসেছে ডুলাহাজারা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অনেকে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের আশির্বাদ পেতে জোরেশোরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে তৃনমুল নেতা কর্মীরা জানায়, আমরা ক্লীন ইমেজের প্রার্থী চাই। মনোনয়নের জন্য যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা সবাই দলের ত্যাগী নেতা। তবে অনেকের বিতর্কও কম নেই। আশাকরি জননেত্রী সঠিক ব্যক্তির কাছে নৌকা তুলে দিবেন। যাথে নৌকার সম্মান সাধারণ মানুষের নিকট যথাযথ বজায় থাকে।
পাঠকের মতামত: