টেকনাফ প্রতিনিধি :
২৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা মুল্যের ৯ হাজার ৪১০ পিস ইয়াবা বড়িসহ ১টি যাত্রীবাহী জব্দ করেছে বিজিবি। এঘটনায় যাত্রীবাহী বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন টেকনাফ গোদারবিল মৃত ফজর রহমানের পুত্র বাসের চালক মোঃ নুরুল হক (৪৫) এবং পুরান পল্লানপাড়া অলি আহমদের পুত্র বাসের সুপারভাইজার মোঃ ইলিয়াছ (২৪)। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী বাসের বডির সাথে অভিনব কৌশলে ফিটিং করে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার অপরাধে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করতঃ জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, বাসসহ ধৃত আসামীদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি’র পরিচালক অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান ‘২৬ মার্চ সকাল ৬টায় হতে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপির নায়েব সুবেদার মোঃ লাল মিয়ার নেতৃত্বে একটি টহল দল দমদমিয়া চেকপোষ্টে যানবাহন তল্লাশীর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। আনুমানিক ৯.৪০ টায় টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী একটি সরাসরি স্পেশাল সার্ভিস (আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ) বাস (নম্বর চট্ট মেট্রো-জ-১১-২০০০) দমদমিয়া চেকপোষ্টে পৌঁছলে কর্তব্যরত টহল দল সিগন্যাল দিয়ে থামায়। অতঃপর বাসের চালককে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় টহল দল উক্ত বাসে ব্যাপকভাবে তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করে। তল্লাশীকালীন টহল দল উক্ত বাসের ড্রাইভারের মাথার উপরে অভিনব পদ্ধতিতে ফিটিং অবস্থায় একটি প্যাকেট দেখতে পায়। এমতাবস্থায় বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে আটক করতঃ ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রাপ্ত প্যাকেটটি খুলে গণনা করে ২৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা মুল্যের ৯ হাজার ৪১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১টি বাস আটক করা হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী বাসের বডির সাথে অভিনব কৌশলে ফিটিং করে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার অপরাধে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করতঃ জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, বাসসহ ধৃত আসামীদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে’।
পাঠকের মতামত: